নির্বাচনে জিতেও নির্বাক মুকুল, শপথের পর ছিলেন না দলের বৈঠকে! জল্পনা তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে সভা করেও, ফলাফলে মাত্র ৭৭ আসন পেয়েছে বিজেপি (bjp) শিবির। তবে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে জয়ী হয়েছেন বিজেপির সহ সভাপতি মুকুল রায় (mukul roy)। শুক্রবার শপথও নিলেন বিধাসভায়। কিন্তু শপথের পরও নির্বাক মুকুলকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে জল্পনা।

তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায় একটা সময় দিদির ছত্রছায়া ত্যাগ করে বিজেপি শিবিরে গিয়ে নাম লেখায়। তারপর থেকেই তৃণমূলকে নানাভাবে আক্রমণ করতেও দেখা গেছে তাঁকে। তবে কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায় শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা দল ত্যাগ করার পর, তাঁদের নামে সমালোচনা করলেও মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে বলতে শোনা গিয়েছিল- ‘মুকুল অনেক ভালো শুভেন্দুর থেকে। এদের মত ও এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেনি’।

তবে বিজেপিতে নাম লেখালেও মুকুল রায়কে ঘিরে মাঝে অনেক জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। দলীয় অন্তর্দ্বন্ধ সামনে আসায়, দল ত্যাগের একটা গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে সেই মুকুল রায়ই বিজেপির হয়ে নির্বাচনে লড়াই করে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে জয়ী হয়েছেন। শুক্রবার শপথও নিলেন বিধানসভায়। তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তিনি যেন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন, মুখই খোলেননি।

এদিন বিধানসভায় শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমার যা বলার আছে, তা পরে ডেকে বলব’। মুকুল রায়ের এই মন্তব্যের পর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন মুকুল রায় নিজেই। শপথ গ্রহণের পর বিজেপির নব নির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থাকলেও, মুকুল রায় আগেই বৈঠকের আগেই বিধানসভা ছাড়বেন বলে জানা গিয়েছে। এমনকি এদিন শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সির সঙ্গে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর