বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে দ্রুত ডালপালা বিস্তার করছে বিজেপি (Bhartiya Janta Party)। ইতিমধ্যেই ওড়িশাতেও বিজেপি (BJP) এবং বিজেডির (BJD) মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ফের একবার জোট বাঁধতে পারে বিজেপি এবং বিজেডি। রাজনৈতিক কারবারিদের ধারণা, খুব শীঘ্রই এনডিএ-তে যোগ দিতে পারেন নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বউধড়খর ওড়িশার বিজেপি নেতৃত্ব দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সাথে দেখা করেছেন। সূত্র বলছে, বিজু জনতা দলের সভাপতি এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বিজেপির সাথে একই পথের পথিক হতে চাইছেন। আসন্ন নির্বাচনে একই সাথে ময়দানে নামতে পারে এই দুই দল।
যদিও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছুই হয়নি। সমস্ত দিক ভাবনা চিন্তা করে তবেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবে বিজেপি এবং বিজেডির শীর্ষ নেতৃত্ব। আসন ভাগাভাগি থেকে শুরু করে এমন অনেক আলোচনাই নাকি এখনও বাকি। তবে বিজেডি যদি এনডিএ-তে নাম লেখায় তাহলে তা যে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জন্য বিরাট ধাক্কা হবে সেকথা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ অগ্নিকান্ড প্রাথমিক স্কুলে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই চলে গেল এক নিস্পাপ প্রাণ, উদ্ধার ৩৮০ ছাত্রী
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিনের কোর কমিটির এই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ওড়িশা বিজেপি সভাপতি মনমোহন সামল এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়াল ওরাম। এছাড়াও বৈঠকের মূল আকর্ষণ ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ ও নাড্ডা। বৈঠক শেষে ওরাম বলেন, ‘হ্যাঁ, জোটসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আরও পড়ুন : ভোটের আগেই বড় ধাক্কা! বিজেপিতে গেলেন কমল ঘনিষ্ঠ ৭ নেতা, ফাঁপরে কংগ্রেস
আসন বণ্টন এখনও চূড়ান্ত না হলেও কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, ওড়িশার বেশিরভাগ লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বিজেপি। যেখানে আঞ্চলিক দল অর্থাৎ বিজেডি সর্বোচ্চ বিধানসভা আসনে নির্বাচনে লড়বে। এখানে বলে রাখা ভালো যে, ওড়িশায় মোট ২১টি লোকসভা আসন এবং ১৪৭টি বিধানসভা আসন রয়েছে।
আরও পড়ুন : TRP-তে বড় রদবদল! ফের হাপিস ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, বিরাট খেল দেখাল জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’
গত ২০১৯ সালের নির্বাচনে ওড়িশা থেকে মোট ৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। যেখানে বিজেডির দখলে ছিল ১২টি। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেডি জিতেছিল ১১২টি আসন এবং বিজেপির দখলে ছিল মোট ২৩টি আসন। এমন পরিস্থিতিতে এই দুই দল যদি জোট করে তাহলে তা যে বিজেপির জন্য বিরাট লাভজনক হবে সেকথা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া লোকসভা নির্বাচনের ঠিক পরেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ওড়িশায়। অতএব সেই নির্বাচনও নবীন পট্টনায়েকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এখন দুই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এই দুই দল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার বিষয়।