বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা ভোটের ঢাক বাজতেই তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) নতুন করে উন্মাদনা। দক্ষিণ কলকাতার বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে কে দাঁড়াবে প্রার্থী হয়ে, এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। শোনা যাচ্ছে এই কেন্দ্র থেকে এবার ‘তারকা শক্তি’কে কাজে লাগাতে চাইছে শাসক দল। আর সেখানেই ঘুরপাক খাচ্ছে অভিনেত্রী ‘শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি’র নাম।
২৬-এর ভোটে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ‘সেলিব্রিটি তাস’
২১ জুলাইয়ের পরেই কার্যটা শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্ল্যানিং। কোন কেন্দ্র থেকে কোন প্রার্থী দাঁড়াবে, তা নিয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরে শুরু হয়েছে আলোচনা। এই মর্মেই উঠে এসেছে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির নাম। অনেকে মনে করছেন, পার্থর আসন ধরে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী ‘সেলিব্রিটি তাস’ ফেলতে চলেছে ভোটের ময়দানে। পার্থ গ্রেপ্তার হওয়ার পর শাসক দলের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী শ্রাবন্তীর ‘গ্ল্যামার’ দিয়ে সেই ক্ষতি ঢাকার চেষ্টা করছেন বলেও মত অনেকের।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে পার্থর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। সেই নির্বাচনে ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে ভোটে হেরে নিজেকে রাজনীতি থেকে দড়িয়ে নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ভোটে হেরে যাবার পর বিজেপির সাথেও আর কোন যোগাযোগ রাখে নি বলে খবর সুত্রের। এরপর গত সোমবার অর্থাৎ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে শ্রাবন্তী চ্যাটার্জির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা।
শ্রাবন্তীর রাজনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল (Trinamool Congress) শিবিরে এখনই প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। যদিও দলীয় সূত্রে খবর, শ্রাবন্তীর পর্ণশ্রী এলাকায় পুরনো বাসিন্দা হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে তৃণমূলের একাংশ ইতিমধ্যেই তাঁর বেহালার বাড়ি ও স্থানীয় সংযোগ নিয়ে নীরবে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। বেহালা পশ্চিমের এক যুব নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “২০২১ সালে আমরা দলে নির্দেশ পেয়েছিলাম পার্থদাকে জেতাতে। সেটা সফলভাবে করেছি। এখন যদি দল বলে শ্রাবন্তীকে প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে, সেক্ষেত্রেও আমরা দলের সিদ্ধান্তই মাথা পেতে নেব।”
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূলে ভাঙ্গন! নতুন দল তৈরির পথে দাপুটে সংখ্যালঘু বিধায়ক…
তবে তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরের অনেকের মত, দলনেত্রীর ইচ্ছা থাকলে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কেই সামনে আনা হতে পারে। সেলিব্রিটি মুখ, স্থানীয় যোগাযোগ, এবং রাজনৈতিক আবহে তাঁর উপস্থিতি, সব মিলিয়ে তাঁকে টিকিট দিলে অন্তত দলের ভিতরে আপত্তির জায়গা খুব কম থাকবে। বরং তাঁর পেছনে গোটা সংগঠনকে একজোট করেই ময়দানে নামানো যাবে, এমনটাই আশা করছেন অনেকে। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মমতাই।