বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sreelekha Mitra) বনাম শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) বিতর্ক এখনো অব্যাহত। ফুড ডেলিভারি বয়দের সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করে ‘অহংকারী’ তকমা পেয়েছেন ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালিকা সুদীপা। তাঁর ‘উদ্ধত’ মানসিকতার তীব্র সমালোচনা করছেন নেটনাগরিকরা। কটাক্ষ করেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। পালটা অভিনেত্রীকে কুরুচিকর ইঙ্গিত করেছেন সুদীপা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুদীপা লিখেছিলেন, ‘ডেলিভারি বয়রা ফোন করে দরজা খুলতে বলেন কেন? আমি কি দারোয়ান নাকি?’ সুদীপার বিতর্কিত পোস্টটি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছিলেন, ‘উদ্ধত, অসভ্য এই মহিলা!’ এ বিষয়ে রান্নাঘরের সঞ্চালিকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এক সংবাদ মাধ্যমের তরফে। উত্তরে ছোটখাট একটা বিষ্ফোরণ ঘটান সুদীপা।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না যে উনি আমাকে নিয়ে এমন কথা বলেছেন। ছোট থেকে ওঁকে চিনি, আমার দাদার বন্ধু, আমার ছবিতে কাজ করেছেন। খুব অবাক হলাম যে এমন একজন অভিনেত্রী আমার মতো একজন সঞ্চালিকাকেও নজরে রাখেন।”
এখানে থামেননি সুদীপা। শ্রীলেখা সম্পর্কে তিনি বলেন, অভিনেত্রী যখন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তখন নিজের স্বামী আর দাদার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই নাকি শ্রীলেখার চোখে খারাপ হয়ে গিয়েছেন সুদীপা। তিনি আরো দাবি করেছিলেন, তাঁর স্বামী অগ্নিদেব তাঁকে কী উপহার দেন সেটাও নাকি নজরে রাখেন শ্রীলেখা। এরপরেই তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, “আমার স্বামীর উপরে ওঁর দুর্বলতা আছে নাকি?”
সম্প্রতি এ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেছেন, তিনি শুনেছেন যে সুদীপা বলেছেন যে তাঁর স্বামীর প্রতি শ্রীলেখার দুর্বলতা আছে। অভিনেত্রী বলেন, তিনি মানতেন যদি হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজের ব্যাপারে কথা হত। তাহলে তাঁর প্রতি দুর্বলতা আসতে পারত।
শ্রীলেখা আরো বলেন, “আমার মনে হয় ওই মহিলার ভাবতে ভাল লাগে যে ওঁর স্বামীকে কেউ চাইছে বা স্বপ্ন দেখছে। এটা ভুল ধারণা, কিন্তু তাঁর যদি এটা ভেবেই ভাল লাগে, আনন্দ হয় তাহলে আর আমি কী বলব। আনন্দে থাকুক। হঠাৎ করে এতকিছু পেয়ে হয়তো মাথা ঘুরে গিয়েছে, মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই এমন সব মন্তব্য করছেন।”
সোশ্যাল মিডিয়াতেও কটাক্ষ শানাতে ছাড়েননি শ্রীলেখা। তীব্র ব্যঙ্গ করেছেন, ‘এই মেয়েটা পাগল না ছাগল? আমি আপনার মতো গোল্ড ডিগার নই। আপনি প্লিজ স্বামী, শাড়ি, গয়না, রান্নাঘর সামলান, আপনার বরের দিকে নজর দেওয়ার থেকে অনেক জরুরি কাজ করার আছে আমার। উফফ জ্বালাতন মাইরি! ওঁর বোধহয় আনন্দ হয় এটা ভেবে।’