বাংলাহান্ট ডেস্ক: বুধবার শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) পরিচালিত ছবি ‘এবং ছাদ’ প্রদর্শিত হল নন্দনে। আনন্দের দিনে একটু মনখারাপও মিশে রয়েছে শ্রীলেখার মনে। কারণ আজই অভিনেত্রীর বাবার বাৎসরিক কাজ সম্পন্ন হল। গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর নিজের সবথেকে কাছের বন্ধুকে হারান শ্রীলেখা। কিন্তু তিথি মেনে এদিনই বাবার বাৎসরিক কাজ সম্পন্ন করেন অভিনেত্রী।
এদিন দমদমের বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীলেখার বাবার বাৎসরিক কাজের। বাবার ছবি ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এদিন শ্রীলেখার সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাইও। বাৎসরিক কাজের কিছু ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা।
মন ভারাক্রান্ত, মুখের হাসিটা শ্রীলেখার স্বভাবোচিত উজ্জ্বল নয়। তিথি অনুযায়ী এদিনই বাবার বাৎসরিক কাজ। পিতৃপক্ষে পিতার কাজ আর অদ্ভূত ভাবে এদিনই তাঁর পরিচালিত ছবি ‘এবং ছাদ’ এর নন্দনে প্রদর্শনী। দুটো ব্যাপারই কি কাকতালীয় নাকি অন্য কিছু? প্রশ্নটা ভাবাচ্ছে শ্রীলেখাকে।
নন্দনে এবং ছাদ এর প্রদর্শনীর জন্য কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি শ্রীলেখাকে। এর আগে সবকিছু ঠিক হয়েও শেষ মুহূর্তে তাঁকে শুনতে হয়েছিল, নন্দনে জায়গা পায়নি তাঁর ছবি। কিন্তু কথায় বলে, সব ভাল যার শেষ ভাল। বাবার বাৎসরিকের দিনেই এই সুখবর পেলেন শ্রীলেখা।
সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী জানান, তাঁর ছবি মুক্তি পেলে সবার আগে হলে গিয়ে দেখতেন তাঁর বাবা। মেয়েকে নিয়ে খুব গর্বিত ছিলেন তিনি। আর এদিন বাবার কাজের দিনই নন্দনে প্রদর্শিত হল শ্রীলেখার ছবি। অভিনেত্রীর বিশ্বাস, বাবা তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন।
বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক বিশেষ উদ্যোগও নিচ্ছেন শ্রীলেখা। বাংলাদেশে তাঁদের আদি জমিদারি বাড়ির গল্প থেকে দেশভাগের কয়েক বছর পর সেখান থেকে এদেশে আসা এবং তার স্ট্রাগল নিয়ে লিখেছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। সেই লেখার উপর ভিত্তি করে একটা প্রবন্ধ শ্রীলেখা ছাপাতে চলেছেন বই আকারে।