বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রেম, যৌনতা নিয়ে বরাবরই খুল্লমখুল্লা কথা বলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। বহু বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও প্রেমে থাকতে ভালবাসেন তিনি। পুরুষ অনুরাগীর সংখ্যাও কম নয় তাঁর। এহেন শ্রীলেখার প্রেম দিবসটা যে বেশ জমজমাট কাটবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু ভ্যালেন্টাইনস ডে (Valentines Day) তে যে এমন চমকপ্রদ সারপ্রাইজ পাবেন তা হয়তো শ্রীলেখাও ভাবতে পারেননি। সকাল সকাল তাঁর বাড়িতে এসে হাজির একগুচ্ছ লাল ও গোলাপি রঙের তাজা গোলাপ। সঙ্গে ইয়া বড় একটি কার্ড ও সাদা রঙের টেডি বিয়ার। অথচ উপহারের প্রেরক হিসাবে কারোর নাম নেই। কাণ্ড দেখে শ্রীলেখা তো ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’।
কে পাঠালো এমন উপহার? কে সেই ‘সিক্রেট অ্যাডমায়ারার’? বুঝতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়াতেই ছবি পোস্ট করেছেন শ্রীলেখা। সঙ্গে লিখেছেন, ‘এক বেনামী প্রেমিকের থেকে পেলাম। কী করে বুঝবো কে পাঠিয়েছে? আমি কিংকর্তব্যবিমূঢ়!’ নেটিজেনরা নিজেদের মতো করে উত্তর দিয়েছেন শ্রীলেখাকে।
একজন লিখেছেন, ‘গোপন প্রেমিক গোপন থাকলেই ভাল লাগে’। আরেকজন আবার মজা করে লিখেছেন, ‘ফুল উপভোগ করো। গাছ দিয়ে কী কাজ?’ তবে বেনামী প্রেমিককে খালি হাতে ফেরাননি শ্রীলেখা। লাল প্রিন্টের পোশাক, গলায় সোনালি হার ও লাল লিপস্টিকে সেজে সেলফি তুলেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘গোপন অনুরাগীর জন্য আমার ফেরত উপহার।’
এর আগে দুবাই যাওয়ার পথে নেহাত মজা করেই শ্রীলেখা লিখেছিলেন, ‘ধুস একটা বয়ফ্রেন্ড নেই যাকে বলব যাচ্ছি বাবু, ভীষণ মিস করব তোমায় বেবি… এখন মেয়ে ছাড়া কাউকেই টাটা করার নেই।’ কিন্তু এই পোস্টের জন্য যে এমন ট্রোল হতে পারেন সে কথা পরে মাথায় আসে শ্রীলেখার।
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রেমিক না থাকার জন্য ট্রোলড হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে চুপ করে থাকার পাত্রী তো নন শ্রীলেখা। পালটা একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘শ্রীলেখা মিত্র এটা লেখার সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছেন কেলো করেছেন। না উনি কোনও দুঃখ হতাশা থেকে, মানে বয়ফ্রেন্ড না থাকার দুঃখ হতাশা থেকে এই পোস্ট করেননি। ফ্লাইটে উঠেই মা-বাবাকে আগে ফোন করতাম, মেয়ে নেহাত ছোট সে তার পড়াশোনার জগৎ নিয়ে আছে, ICSE দিচ্ছে। তাই ওকে বিরক্ত করি না।’
তিনি আরো লিখেছিলেন, ‘প্রচুর ফ্যান-ফলোয়ারদের ভিড়ে বিশেষ কেউ হ্যাঁ এখন আর নেই, কখনও হয়তো মিস করি, অধিকাংশ সময় করি না। প্রেমটা এখন আর ঠিক আসে না, তাই আমার রোমান্টিসিজম প্রকৃতি নিয়ে, নিজেকে নিয়ে, নিজের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে।’