বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিচ্ছেদ মানেই ভাঙন, দুজন মানুষের চলার পথ আলাদা হয়ে যাওয়া। কিন্তু সব বিচ্ছেদেই কি তিক্ততা আসা আবশ্যক? সম্পর্ক ভাঙলেও তো বন্ধুত্ব বজায় রাখা যায়। এই মন্ত্রেই বিশ্বাসী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। বিয়ে ভেঙে গিয়েছে অনেক বছর আগে। মাথার উপরে ছাদ আলাদা হয়েছে। কিন্তু প্রাক্তন স্বামী শিলাদিত্য স্যান্যালের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা আসতে দেননি শ্রীলেখা।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা বলেন, বিয়ে বিচ্ছেদ এসবই গত জন্মের কথা বলে মনে হয় তাঁর। কারণ তারপর থেকে আমূল বদলে গিয়েছেন তিনি। শ্রীলেখার আসল বাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্টে। সেখানকার পরিবেশে বড় হওয়ায় তাঁর চারিত্রিক গঠন দক্ষিণ কলকাতার ছেলে শিলাদিত্য স্যান্যালের থেকে আলাদা ছিল।
শ্রীলেখা জানান, সিরিয়ালের বউদের মতো ছিলেন তিনি। কাজ শেষ করেই বাড়ি চলে আসতেন। স্বামীকে ঘিরেই আবর্তিত হত শ্রীলেখার জীবন। সব কাজেই দরকার হত তাঁকে। এমনকি ইমেইলও পাঠাতে পারতেন না অভিনেত্রী। বিচ্ছেদের পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাঁর। এখনকার শ্রীলেখা একেবারে অন্য রকম। কার্যত নবজন্ম হয়েছে তাঁর।
শ্রীলেখা জানান, আগে বিচ্ছেদের কথা ভাবলে কষ্ট পেতেন। কিন্তু ওই সময়টা এখন কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। এখন বিয়ের মরশুম এলেও আর কিছুই মনে হয় না। শ্রীলেখার কথায়, বিশ্ব সংসার এখন তাঁর ঘর।যেটা ফেলে এসেছেন সেখানে আর ফিরে যাওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। জীবনের সব সম্পর্ক থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন শ্রীলেখা। ফলাফল নিয়ে তিনি ভাবেন না।
কিছুদিন আগেই মেয়ে ঐশীর জন্মদিনে এসেছিলেন শ্রীলেখার প্রাক্তন স্বামী। বাবা মায়ের মাঝে দাঁড়িয়ে লেন্সবন্দি হয়েছেন সুন্দরী মাইয়রা। এখন তিনি রীতিমতো একজন লেডি। নেটিজেনরা দেখে মন্তব্য করেছেন, মেয়েকে কিন্তু বাবার মতোই দেখতে হয়েছে।