বাংলাহান্ট ডেস্ক: শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra) যে গতে বাঁধা জীবন কোনোদিনই তেমন পছন্দ করেন না তা অনেকেই। বাস্তব জীবনের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি একই রকম ‘বোল্ড’। মাঝে মাঝেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শরীরচর্চা করার বা পোস্ট ওয়ার্ক আউট ছবি (photo) শেয়ার করেন শ্রীলেখা।
এবার এমনি একটি ছবি শেয়ার করে ফের সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন শ্রীলেখা। তবে ছবির থেকেও বেশি নজর কাড়ছে ক্যাপশনটি। নেটজনতার প্রতি একেবারে সপাট মন্তব্য অভিনেত্রীর, ‘প্রথমে আমার চোখে হারান, ক্লিভেজ দেখার সময় পাবেন পরে’।
শ্রীলেখার সাফ বক্তব্য, ক্লিভেজ দেখুন কিন্তু তার সঙ্গে নোংরামিটাকে গুলিয়ে ফেলবেন না। যৌনতাকে কোনোদিনই ‘ট্যাবু’ হিসাবে দেখেননি তিনি। শালীনতার মাত্রাটা নিজের মানসিকতার উপরেই নির্ভর করে বলে মনে করেন শ্রীলেখা। উপরন্তু তাঁর কোন পোশাক পরা উচিত কি না সেটাও তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় বলেই মনে করেন তিনি।
শ্রীলেখার কথায়, “আমার শরীর আমি দেখাবো। কিন্তু ক্লিভেজ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগে আমার মন ছুঁতে হবে।” তিনি আরো বলেন, নিজের মর্জিমতো বাঁচেন বলেই তাঁকে নিয়ে ট্রোল হয়। কারণ অন্যরা তাঁর মতো জীবনটাকে উপভোগ করতে পারেন না।
এর আগেও বেশ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। সেলিব্রিটি হয়ে নিজের ‘ভুঁড়ি’র ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু শ্রীলেখা চিরদিনই চ্যালেঞ্জিং। জীবনটা একটু অন্যরকম ভাবে বাঁচতেই ভালবাসেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/CJSm_PwFNWc/?igshid=20dtks5miw1p
জিমে ঘাম ঝরানোর পর পরনের টপ কিছুটা তুলে পেটে হাত দিয়ে একটি মিরর সেলফি তোলেন শ্রীলেখা। ক্যাপশনে মজা করে লেখেন, ‘ও বলছে যেতে পারি কিন্তু কেন যাব’। পাশে আবার ব্র্যাকেটে উল্লেখও করে দিয়েছেন কার উদ্দেশে বলা এই কথাগুলো।
https://www.instagram.com/p/CJQKPfnlRNS/?igshid=1ulxkb07fse3q
কিছুদিন আগেই ফিল্টার ও এডিট ছাড়া কোনো রকম কাটছাঁট ছাড়া নিজের আসল লুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন শ্রীলেখা। সঙ্গে জিমে শরীরচর্চা করার একটি ছবিও কোলাজ করে দিয়েছিলেন তিনি।
ক্যাপশনটিও চমকপ্রদ দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। লিখেছিলেন, ‘সেক্সারসাইজ ছাড়া এক্সারসাইজেও স্বাভাবিক গ্লো বাড়ে।’ বলা বাহুল্য, ক্যাপশন সহ ছবিটি নেটিজেনদের নজর কাড়তে দেরি করেনি। তবে টিভির পর্দায় দেখা শ্রীলেখার সঙ্গে এই সেলফির শ্রীলেখার বেশ পার্থক্য। এই নো ফিল্টার সেলফিতে মেকআপ ও এডিটের অভাব, বয়সের ছাপ স্পষ্ট। তবে অনেকেই অভিনেত্রীর সাহসের প্রশংসা করেছিলেন।