শান্তিতে বসে বিস্কিটও খেতে পারেন না! ‘সেয়ানা’দের সঙ্গে ভিডিও শেয়ার করে কপট রাগ দেখালেন শ্রীলেখা

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এতটুকু শান্তির মুখ দেখতে পান না শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। একটা বিস্কিট খাবেন, তা পর্যন্ত শান্তিতে বসে খেতে পারেন না তিনি। একটা বিস্কিটের জন‍্য শ্রীলেখার উপরে হামলা করে আরো দুজন। তাদের আক্রমণেই নাজেহাল অভিনেত্রী। একটা গোটা বিস্কুট থেকে শেষ নিজের জন‍্য বাঁচে ছোট্ট একটা টুকরো মাত্র!

ভাবছেন কে এই দুজন যাদের সঙ্গে বিস্কিট নিয়েও লড়াই করতে হয় শ্রীলেখাকে? বলা যায়, এরাই অভিনেত্রীর বাড়ির রাজা। তাঁর নয়ণের মণি, দুই আদরের পোষ‍্য। শ্রীলেখাকে খাবার হাতে দেখলেই তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুজন। কেউ পায়ের কাছে ঘুরঘুর করতে থাকে, আবার কেউ সোজা দু পায়ে ভর দিয়ে উঠে পড়ে গায়ে।


দুজনের করুণ মুখের উপরে ‘না’ করার সাধ‍্যি কারোর নেই। যদিও শ্রীলেখার মতে, এদের মধ‍্যে একজন হল সবথেকে বেশি ‘সেয়ানা’। দুই পোষ‍্যের সঙ্গে নিজের কাণ্ডকারখানার ভিডিও শেয়ার করে শ্রীলেখা বলেন, “তিনটে মুখ, একটা বিস্কিট। আমার জীবনে একটা বিস্কিটও শান্তিতে বসে খেতে পারলাম না।”

শ্রীলেখার পরিস্থিতির সঙ্গে অবশ‍্য নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই। বাড়িতে চারপেয়ে পোষ‍্যর মা হলে এমনটা হবেই। একজন লিখেছেন, ‘তুমি খাবে আর সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে খাবে না সেটা হয়? সেই জন‍্য শেষমেষ ওইটুকু পেলে, খুব ভাল লাগল।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘একেই বলে নিঃস্বার্থ ভালবাসা’।

https://www.instagram.com/reel/CYx6CijpJe0/?utm_medium=copy_link

শ্রীলেখার পশুপ্রেম সর্বজন বিদিত। এ নিয়ে দু দুবার বড়সড় ঝামেলার মুখেও পড়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ডেটে যাওয়ার বদলে এক সারমেয় শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন রেড ভলান্টিয়ার শশাঙ্ক ভাভসর। কিন্তু পরে জানা যায়, মারা গিয়েছে ছোট্ট ছানাটি। কর্মসূত্রে তখন দেশের বাইরে শ্রীলেখা। রাগে দুঃখে সোশ‍্যাল মিডিয়াতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এই ঘটনায় কয়েকজন পশুপ্রেমী শশাঙ্কের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ানোর ঘটনাটা আইনি দিকেও গিয়েছিল।


এরপর ফের পথ কুকুরদের খাওয়ানোর ‘অপরাধে’ নিজের আবাসনের বাসিন্দাদের হুমকি শুনতে হয়েছিল শ্রীলেখাকে। কিন্তু হার মানবার মানুষ নন। সাময়িক কষ্টে জর্জরিত হন ঠিকই, কিন্তু পথপশুদের থেকে কখনোই মুখ ফিরিয়ে নেননি শ্রীলেখা। অনুরাগীদের কাছে তাঁর একটাই অনুরোধ। শীতের রাতে পথপশুরা যদি একটু আশ্রয়ের সন্ধানে আসে, তাদের তাড়িয়ে না দিয়ে একটু শোওয়ার জায়গা দেওয়া। অবলা প্রাণীগুলো তাতেই খুশি।

X