বাংলা হান্ট ডেস্ক : শ্রীময়ীর (Sreemoyee) জুন আন্টিকে (June Aunty) চেনেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই খলনায়িকার মুখ ভাঙানো আজও মিম হয়ে ঘোরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এই সিরিয়ালের পর থেকেই যেন গায়েব হয়ে রয়েছেন তিনি। ভক্তরা তার কামব্যাকের জন্য আবেদনও জানিয়েছিলেন। আর এবার খবর, খুব শীঘ্রই পর্দায় ফিরছেন উষসী (Ushasie Chakraborty)। মিটতে চলেছে অনুরাগীদের আবদার।
শোনা যাচ্ছে এবার আর আন্টি রূপে নয় বরং রীতিমত গ্ল্যাম লুকে কামব্যাক করবেন জুন আন্টি। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই কালার্স বাংলার বহুল চর্চিত ধারাবাহিক টুম্পা অটোওয়ালিতে দেখা যাবে তাকে। তবে মাঝে এতটা কেন বিরতি নিলেন উষসী? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘একটানা কাজ করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। শ্রীময়ীর পর অনেক প্রস্তাবই পেয়েছি। সবই ফিরিয়ে দেই। একটু বিরতি চেয়েছিলাম। এই চরিত্রটা শুনে বেশ আগ্রহী হলাম বলে কাজ শুরু করেছি।’
টলিপাড়া সূত্রে খবর, অরিঞ্জয় ও অশোকের বোন অস্মিতার চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। গল্প অনুযায়ী, পরিবারের অমতে বিয়ে করার কারণে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। দীর্ঘ সময় পর বাড়িতে এসেছে সে। তার জীবনের এখন একটাই লক্ষ্য, অসম্মানের বদলা নেওয়া। বলাই বাহুল্য, সিরিয়ালে তড়কা দেওয়ার জন্য এই চরিত্রটিই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন : বিয়ের ৪ মাসের মাথায় মা হলেন স্টার জলসার এই অভিনেত্রী! বাচ্চার ছবি পোস্ট করতেই তাজ্জব সবাই
দিনকয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি যোগাসনের ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষের শিকার হন অভিনেত্রী। ট্রোলারদের কুরুচিকর মন্তব্য আটকাতে কালো স্পোর্টস ব্রা আর ছাই রঙা ধোতি প্যান্ট পরে ‘কর্ণপীড়াসন’-এর ছবি পোস্ট করেছিলেন। ক্যপশনে লিখেছিলেন, ‘যোগাসন দেখে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ অনেক পুরুষের মধ্যে যৌন ফ্যান্টাসি ফুলেফেঁপে উঠেছে।’
আরও পড়ুন : রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী! শিমুলের চেয়ে ঢের বেশি সুন্দরী পরাগের বাস্তব জীবনের স্ত্রী
অভিনেত্রীর আরও সংযোজন, ‘হয়তো সেইসব ভদ্রলোকদের যৌন খিদেটা বড্ড বেশি বা তারা এমন পরিবেশে বড় হয়েছে যেখানে মেয়েদের অন্যের সামনে গালিগালাজ করাটা খুব সাধারণ ব্যাপার। অথবা তাদের আশেপাশের মেয়েদের সম্মান করার তাগিদটুকুও শেখানো হয় না। আমার তাদের প্রতি সমবেদনা রয়েছে, আর তাদের জীবনে থাকা মহিলাদের প্রতিও। আমার ফেক্সিবেল বডি দেখে যদি কোনও পুরুষের যৌনাকাঙ্খা জাগে তাতে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু যেভাবে সেটা তারা জাহির করে নিয়েছেন তাতে প্রমাণ হয় তাদের না আছে শিক্ষা, না আছে কোনও ক্লাস। পাবলিক ফোরামে কোনটুকু লেখা যায় সেই জ্ঞানটাও নেই।’