বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রেস্টন কুলকার্নি ( Sri Preston Kulkarni) ট্রাম্পের (Donald Trump) দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। প্রাক্তন কূটনীতিক কুলকার্নি ইরান ও ইসরাইলের মতো দেশে কর্মরত ছিলেন। তিনি সর্বদাই নিজের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য প্রসিদ্ধ। সবথেকে মজাদার বিষয় হল, উনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (Rashtriya Swayang Sevak Sangh) সাথে যুক্ত।
ট্রাম্পের দল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটারদের মন করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তিনি চীনের সাথে ভারতের চলা উত্তেজনার মধ্যে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতীয়দের মন জয় করার কাজ করে চলেছেন। ৪১ বছর বয়সী কুলকার্নি ট্রাম্পের দলের হয়ে আমেরিকার টেক্সাস রাজ্য থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি যদি জয় হাসিল করে নেন, তাহলে তিনিই প্রথম হিন্দু প্রতিনিধি হবেন যিনি টেক্সাস রাজ্য থেকে জিতবেন।
এখানে জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ সাদা মানুষ, লাতিন বংশোদ্ভূত ২৫ শতাংশ, এশিয়ান জনসংখ্যা ১৭ শতাংশ, এবং ১২ শতাংশ অশ্বেত। এই তথ্য সেন্সর প্রকাশ করেছে, যা দেখায় যে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ আর সেখানে কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূতের জয় হাসিল করে নেওয়া অনেক মুশকিল হতে পারে। তবুও ট্রাম্প সেখানে কুলকার্নিকেই তুরুপের তাস করেছেন।
@SriPKulkarni: Hindutva’s Hope in Houston — US congressional candidate fielded by #RSS in America: https://t.co/DNlG8PeB0e
— Subramanian Swamy (@Swamy39) August 2, 2020
১৯৬৯ সালে কুলকার্নি পরিবার ভারত থেকে আমেরিকায় গিয়েছিল। ১৯৭৮ সালে লুসিয়ানায় ওনার জন্ম হয়েছিল। কুলকার্নির বাবা ভেঙ্কটেশ কুলকার্নি ভারতীয় উপন্যাসিক আর শিক্ষাবীদ ছিলেন, ওনার মা মার্গারেট প্রেস্টন কুলকার্নি আমেরিকার ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ছিলেন।
কুলকার্নি উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতি করেছেন বলে মনে করা হয়। কারণটি তার মা মার্গারেটের পরিবার। আসলে, মার্গারেটের পূর্বপুরুষ স্যাম হিউস্টন উনিশ শতকে মেক্সিকো থেকে আমেরিকা এসেছিলেন এবং টেক্সাসের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাত্কারের সময় কুলকার্নি নিজেই এ কথা বলেছেন।
১৮ বছর বয়সে তাঁকে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিল কারণ তাঁর বাবা তখন রক্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পরে, কুলকার্নি তাঁর তিন ছোট ভাইবোনকে দায়িত্বে নিয়েছিলেন। পরে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।