বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের জন্য গঠিত ট্রাস্টে দান দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। মোদী সরকার (Modi Sarkar) নবগঠিত ট্রাস্টে মন্দির নির্মাণ শুরু করার জন্য নগদ এক টাকা দান করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের সচিব ডঃ মুর্মু সরকারের তরফ থেকে এই দান করেছে। ট্রাস্ট বিনা কোন শর্তে দান, অনুদান, চাঁদা, সহযোগিতা অচল সম্পত্তি রুপে স্বীকার করবে।
অযোধ্যা বিবাদে হিন্দু পক্ষের আইনজীবী ৯২ বছর বয়সী কে পরাসরনকে মন্দির ট্রাস্টের সদস্য বানানো হয়েছে। পরাসরন ছাড়াও এই ট্রাস্টে একজন শঙ্করাচার্য সমেত পাঁচজন ধর্মগুরু থাকবেন। এরা সাথে সাথে অযোধ্যার প্রাক্তন রাজ পরিবারের রাজা বিমলেন্দ্র প্রতাপ মিশ্রা, অযোধ্যার হোমিওপ্যাথি ডাক্তার অনিল মিশ্রা আর কালেক্টরকে ট্রাস্টের সদস্য বানানো হয়েছে।
৩০ বছর আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধি সরকারের অনুমতির পর ৯ নভেম্বর ১৯৮৯ এ প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন হয়েছিল। শিলন্যাসের জন্য প্রথম ইট বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৎকালীন সংযুক্ত সচিব কামেশ্বর চৌপাল রেখেছিলেন। চৌপাল বিহারের বাসিন্দা আর তিনি দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কিছু পরেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে মন্ত্রীমণ্ডলের বৈঠক হয়। রাজ্য ক্যাবিনেট মন্ত্রী তথা মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা বলেন, অযোধ্যা থেকে ১৮ কিমি দূরে ধানিপুর গ্রামে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ বানানোর জন্য জায়গা দেওয়া হবে।
ওই জমি লখনউ-অযোধ্যা হাইওয়ে থেকে প্রায় ২২ কিমি দূর। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে রাম মন্দির – বাবরি মসজিদ বিবাদ মামলায় সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি মসজিদ বানানোর জন্য দিতে হত। এবার বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে যে, ওই জমিতে কি করা হবে।