বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চরম আর্থিক দুর্দশার মধ্যে দিয়ে চলেছে ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শুরু হয়েছে খাদ্য সংকটও। রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে ইতিমধ্যেই এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছেন। বিদেশ থেকে আসা একাধিক খাদ্যদ্রব্যকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যার জেরে এখন সংকটের আশঙ্কায় খাদ্যদ্রব্য মজুত করতে শুরু করেছেন শ্রীলঙ্কান নাগরিকরা। চিনি, চাল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যাতে অতিরিক্ত মজুত করা না হয় তা নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছে সরকার। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিনি, চাল, পেঁয়াজ এবং আলুর দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে গোটা দেশজুড়ে।
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে সেনার এক কর্মকর্তাকে অপরিহার্য পরিষেবার কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করেছেন। গুঁড়ো দুধ, কেরোসিন, রান্নার গ্যাসের জন্য দীর্ঘ লাইন দিতে হচ্ছে মানুষজনকে। বিদেশি মুদ্রার পরিমাণও আশঙ্কাজনকভাবে কমে গিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। অন্যদিকে হলুদ, কৃষি রাসায়নিক, মশলা এবং গাড়ির ক্ষেত্রে আমদানি হ্রাস করেছে সরকার। শুধু তাই নয় টুথব্রাশ, স্ট্রবেরি, ভিনেগার, ভেজা ওয়াইপস এবং চিনি সহ একাধিক বিদেশি পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে লাহু করা হয়েছে বিশেষ লাইসেন্স।
জানা গিয়েছে বিশ্বব্যাপী প্রচুর ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা, যা ফেরত দিতে এখন কার্যত হিমশিম খাচ্ছে তারা। বিশেষত করোনা ভাইরাসের কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই দেশের অর্থনীতি। কারণ এই দেশের উপার্জনের মূল আর্থিক ভিত্তি হল পর্যটন। প্রায় ৩০ লক্ষ লোক শ্রীলঙ্কায় এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু করোনার কারণে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পর্যটন শিল্প। তার জেরেই চাপের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। নিত্য দ্রবের এই চরম আকাল চলতে থাকলে আগামী দিনে পরিস্থিতি যে আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।