বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ কলকাতা হাই কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) মামলায় বড় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং ‘নট স্পেশালি ফাউন্ড টু বি টেইনটেড’, অর্থাৎ যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ নেই, তাদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে আদালতে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এজলাসে পরিস্থিতি ছিল রীতিমতো থমথমে, আর বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা একে অপরের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত ছিলেন।
এসএসসি (SSC) তালিকা নিয়ে আদালতের নির্দেশ
বিচারপতি বলেছেন, যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা তালিকা করা উচিত (SSC)। যারা যোগ্য, তাদের বক্তব্য আদালতে শোনা জরুরি। পাশাপাশি, কবে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল, কবে নিয়োগ হয়েছিল, সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
আজ কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
দীর্ঘ তর্কের পরও আদালত আজ কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দেননি। তাৎক্ষণিক তালিকা প্রকাশের বদলে সকল পক্ষকে হলফনামা বা এফিডেভিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারিতে হবে। ফলে ২০২৫ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন আরও কিছুদিনের অপেক্ষায়।
এর দু’দিন আগে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২৫ (West Bengal Primary Teacher Recruitment 2025) নিয়েও হাইকোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় আসে। ২৩-২৫ ডি.এল.এড (D.El.Ed) ব্যাচের প্রার্থীরা নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন কি না, এই নিয়ে শুনানি হয়। বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের এজলাসে শুনানি শেষের পর রায় ‘রিজার্ভ’ রাখা হয়। হাজার হাজার প্রার্থী চূড়ান্ত রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আদালত পরে জানায় ২০২৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করা হলো। আবেদনকারীর দাবি ছিল ২০২৩ ও ২০২৫ সালের ডি.এল.এড ব্যাচকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে দিতে হবে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি।

আরও পড়ুনঃ প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে বৈধতা নেই! স্পষ্ট রায় হাই কোর্টের
এইভাবে, একদিকে এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে আবেদন খারিজ। প্রার্থীদের এখন জানুয়ারির পরবর্তী শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।












