বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ ফের কলকাতা হাইকোর্টে জয়ী হলেন টেট পরীক্ষার্থীরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এক গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনা গেল। বিভিন্ন কারণে যে সকল পরীক্ষার্থী আদালতে মামলা করেছিলেন তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা দিল আদালত।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্রাথমিকে খালি পড়ে থাকা ৩৯২৯ টি পদেই নিয়োগ করতে হবে। উল্লেখ্য ২০২০ সালে শেষবারের মতো প্রাথমিকে নিয়োগ হয়। দেখা যাচ্ছে সেই নিয়োগের পরেও এখনো ৩৯২৯ টি পদ খালি রয়েছে। আদালতের নির্দেশ খালি পড়ে থাকা এই পদ গুলিতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। আদালত জানায় ,প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি এমন পরীক্ষার্থী রয়েছেন যারা নিয়োগের জন্য মামলা করেছেন। পর্ষদকে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
২০২৪ সালে টেট পরীক্ষার পর দুইবার নিয়োগ করা হয়েছে প্রাথমিকে। প্রথম নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। অপর নিয়োগটি ২০২০ সালে। ২০১৪ সালে মোট ৪২০০০ পদে শিক্ষক নিয়োগ করে পর্ষদ।১৬৫০০ টি শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয় ২০২০ সালে। কিন্তু দেখা যায় ২০২০ সালে নিয়োগের পরেও খালি পড়ে রয়েছে প্রায় ৩৯২৯ টি পদ। এই অভিযোগটি নিয়ে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি পরীক্ষার্থী মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত পর্ষদ কে শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১১ ই নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
অন্যদিকে, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিকে আরও ৬৫ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের অভিযোগ তুলে কিছু পরীক্ষার্থী মামলা করে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার ভিত্তিতেই এর আগে বিভিন্ন রায়ে ৭৭ জন, ১১২ জন ও ১৮৯ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।