৪৫-র বদলে ৫০, পূর্ব অভিজ্ঞতায় ১০ মার্কস! SSC-র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে মামলায় কী বলল হাইকোর্ট?

Published on:

Published on:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি টেন্টেডদের অংশগ্রহণ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে SSC-র নয়া নিয়োগ (SSC Recruitment Case) প্রক্রিয়ায় কোনোভাবেই টেন্টেড বা দাগি বলে চিহ্নিতরা মূলত চিহ্নিত অযোগ্যরা অংশ নিতে পারবেন না। এদিকে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার ও এসএসসি। তবে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সেই আর্জি খারিজ করেছে।

শুনানিতে কী হল হাইকোর্টে? Calcutta High Court

এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিজ্ঞপ্তিতে থাকা আরও কিছু প্রশ্ন মামলায় শুনানি চলল দিনভর। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে–র ডিভিশন বেঞ্চ মামলার শুনানি শেষে রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের বিধি মেনে নিয়োগ না করে ২০২৫ সালে নতুন বিধি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। মামলা করেছিলেন ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্ট–ভুক্ত প্রার্থীরা।

আরও দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের বিধি মেনে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশ দিলেও রাজ্য এ বছরের মোট শূন্যপদ এক সঙ্গে করে নিয়োগ করতে চাইছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের নম্বরের বিন্যাস–বিভাজন বদলে আগে পড়ানোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এ বারে। পাশাপাশি আগের বারে ৪৫ নম্বর পেলে পাশের নিয়ম বদলে এনে রাজ্য এ বার ৫০ নম্বর কেন করেছে সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।

২০১৬ সালের তুলনায় এ বার বেআইনি ভাবে প্রায় সাড়ে তিনশো শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে নন–টেন্টেডদের তরফে। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার এদিন শুনানি হল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতে রাজ্য জানায়, শিক্ষাগত যোগ্যতা এনসিটিই–র গাইডলাইন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। যা শিক্ষকদের নয়, পড়ুয়া–স্বার্থে পরিবর্তন করা হয়।

SSC Form Portal Open Before calcutta high Court order

আরও পড়ুন: রেকর্ড! এই TMC নেতার বাড়িতে টানা ১৯ ঘণ্টা আয়কর হানা, তল্লাশি শেষ হতেই বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরও বলা হয়, ২০১৬ সালের রুল ২০১৯ সালের রুলেই বদলেছে। ফলে ২০১৬–র কোনও রুলের এখন আর অস্তিত্ব নেই। রাজ্য সরকার বছর বছর শূন্যপদের হিসেব রাখে বলে জানানো হয়। বলা হয়, নিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হলে, সব শূন্যপদ এক সঙ্গে করেই ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিককার রাজ্যের রয়েছে বলে আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।