বাংলাহান্ট ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। বিগত কয়েক বছর ধরে কার্যতই হাপিত্যেশ করেও চাকরি মেলেনি একাধিক যোগ্য প্রার্থীর। অন্যদিকে নিয়োগ পত্র পেয়ে দিব্যি চাকরি করছেন অগণিত অযোগ্য পরীক্ষায় পাশ না করতে পারা প্রার্থীরাও। দায়ের হয়েছে অগণিত মামলা। কিন্তু এতদিনে ফল মেলেনি কিছুই। হাইকোর্টের বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি গতকালই আদালতে পেশ করেছে একটি ৬৯ পাতার রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে একাধিক প্রভাবশালী হেভিওয়েটের নামের পাশাপাশি উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর বহু তথ্যও।
রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতেই ওএমআর শিট চালু করে এসএসসি। কিন্তু পরে এমন বহু প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয় যারা কার্যতই পরীক্ষায় পাশ করার যোগ্য নন। তাই ভবিষ্যতে সত্যি সামনে আসার ভয়ে সব ওএমআর শিট নষ্ট করে দেন এসএসসি কর্তারা। একই সঙ্গে আসল প্যানেল সরিয়ে নতুন একটি প্যানেলও তৈরি করা হয়েছিল। সেই নকল প্যানেলে সুপারিশকৃত সমস্ত নামগুলি ঢোকানো হয়। যদিও ওএমআর শিটের মতন আসল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকাটি নষ্ট করেননি কর্তারা। এখনও সংরক্ষিতই আছে আসল প্যানেলটি।
আরও জানা যাচ্ছে, জোনাল অফিস গুলি থেকে যোগ্য প্রার্থীর নাম সুপারিশ করা হলেও মূল অফিসে এসে বদলে যেত সেই নাম। এই নাম বদলের কাজ করতে জোনাল অফিসের আধিকারিকদের সই ডিজিট্যালি নকল অবধি করা হয়েছে। পুরো দুর্নীতির বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ তদন্তকারী কমিটির।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত মামলায় নাম না জড়ালেও এবার নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়য়ের। নিয়োগের আগে তৈরি হওয়া সুপারিশ কমিটি তাঁর নির্দেশেই তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই সুপারিশ কমিটির পুরো বিষয়টিকেই বেআইনি বলে দাবি আদালতের। আদালত এও জানিয়েছে যে এভাবে কোনও মতেই সুপারিশ কমিটি গঠন করা যায় না। পুরো ঘটনাতে যে আরও বেশ খানিক চাপের মুখে পড়ল রাজ্যের শাসকদল তা বলাই বাহুল্য।