বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগে এসএসসি (SSC) কে ঘিরে ফের বড়সড় বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অভিযোগকারীর দাবি, সর্বশেষ প্রকাশিত মেধা তালিকায় এমন বহু মানুষের নাম রয়েছে যারা নিয়ম অনুযায়ী যোগ্য নন। এমনকি ক্লার্কদের নামও দেখা গিয়েছে টিচার রিক্রুটমেন্ট লিস্টে।
এসএসসির (SSC) মেধা তালিকায় অযোগ্যদের নাম, অভিজ্ঞতার নম্বর প্রসঙ্গে বড় প্রশ্ন
মামলাকারীর অভিযোগ, পার্ট-টাইম শিক্ষকরা অভিজ্ঞতার জন্য কোনও নম্বর পাবেন না, এসএসসি (SSC) আগেই এমন নির্দেশ দিয়েছিল। অথচ তাঁর বহু সহকর্মী, যারা পার্ট-টাইম শিক্ষক, তাঁরা অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়া আরও গুরুতর অভিযোগ ওঠে যে, ১৯৯৭ সালের পরে যারা জন্মেছেন, তাঁদের কখনই অভিজ্ঞতার নিরিখে ১০ নম্বর পাওয়ার কথা নয়। তা সত্ত্বেও বর্তমান তালিকায় দেখা যাচ্ছে, বহু প্রার্থী ১৯৯৭ সালের পরে জন্মানো সত্ত্বেও পূর্ণ ১০ নম্বর পেয়েছেন এবং সেই নম্বরের ভিত্তিতে ভেরিফিকেশনের ডাকও পেয়েছেন।
শিক্ষা দফতরের (SSC) সূত্রে অবশ্য দাবি, আবেদনকারীরা নিজেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু ভেরিফিকেশন শুরু হলেই এই অসংগতি পরিষ্কার হবে এবং অযোগ্যদের নাম বাদ দেওয়া হবে।
এছাড়াও আরও বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এসেছে। নীতীশরঞ্জন বর্মন এসএসসির (SSC) ‘টেইন্টেড’ বা ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি নাকি আবার পরীক্ষায় বসেছেন এবং ইন্টারভিউর ডাকও পেয়েছেন। এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্ন উঠেছে, এসএসসি কি নিয়ম মানছে?

আরও পড়ুনঃ টেট মামলার বড় দিন আজ, সুপ্রিম কোর্টের রায়েই বদলে যেতে পারে শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ
প্রসঙ্গত, শিক্ষা দপ্তর সূত্রের বক্তব্য, গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিয়েছিল। সেই কারণেই হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে আইনজীবীদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। পরিষ্কার বলা হয়েছ যে, যে কেউ অযোগ্য প্রমাণিত হলে ভেরিফিকেশনের সময়ই তাঁকে বাদ দেওয়া হবে। এই ক্ষমতা এসএসসির (SSC) কাছেই আছে।












