বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি। প্রায় সাড়ে তিনমাস ধরে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে প্রত্যহ শুনানি চলেছে। বুধবার সেই মামলারই শুনানি শেষ হয়েছে। যদিও এসএসসির (SSC) মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আগেই এই মামলার শুনানি শেষ করার জন্য আগেই ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া সময়সীমার আগেই এই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। যদিও রায়দান ঘোষণা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে শেষ শুনানিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।
নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ, ‘এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ। অতিরিক্ত নিয়োগ হলে তা সরাসরি বাতিল করা উচিৎ।’ বিচারপতির মন্তব্য, “এক্ষেত্রে সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করতে পারি! ওএমআর শিট যাচাই করে নিয়োগের পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে। সমস্ত মামলাও খারিজ করে দিতে পারি।”
শেষবেলায় বিচারপতির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত নিয়োগের পরিসংখ্যান পেশ করেন। তাদের দাবি, ‘শূন্যপদের চেয়েও বেশি সংখ্যক নিয়োগ হয়েছে। যা একটি সুপরিকল্পিত অপরাধ।’
আরও পড়ুন: অচল হয়ে যাচ্ছে Aadhaar Card! চিন্তায় বহু মানুষ, এবার কেন্দ্রের কাছে হলফনামা তলব করল হাই কোর্ট
মামলাকারীদের আইনজীবীদের সওয়াল, ‘শূন্যপদের অতিরিক্ত বেআইনি নিয়োগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় হয়েছে। দুর্নীতির সমস্ত টাকা ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তরে যুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা উচিৎ। সাধারণ মানুষের সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক’
এদিকে এদিনও এসএসসি এবং সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী। তার কথায়, ‘এসএসসি বা সিবিআই কেউই বিশ্বাসযোগ্য নয়। আদালত নিজের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের উপরই ভরসা রাখুক।’ পাল্টা বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, ‘তাহলে আদালত কার কথা বিশ্বাস করবে? আদালত তো উত্তরপত্র দেখারও সুযোগ দিয়েছিল।’ সব শেষে রায়দান স্থগিত রাখা হয়।