বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। লোকসভা ভোটের আবহেই এই মামলায় নজিরবিহীন এক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। যে কারণে এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছিলেন ২৫,৭৫৩ জন। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এসএসসি মামলার (SSC Case) শুনানি ছিল। সব পক্ষের কথা শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট বলে, যোগ্য-অযোগ্য বিভাজন করতে পারলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা ঠিক হবে না। এর ফলে সার্বিক অভিঘাত আসবে, সেটা ভুলে চলবে না। এরপরেই হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দেওয়া চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেই সঙ্গেই উচ্চ আদালতের তরফ থেকে চাকরিহারাদের ১২% হারে বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে জানানো হয়, এই মুহূর্তে বেতন না ফেরাতে হলেও, মুচলেকা দিতে হবে ‘চাকরিহারা’দের।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের প্রত্যেক প্রার্থীকে এই মর্মে একটি মুচলেকা দিতে হবে যে, যে সকল প্রার্থী অবৈধভাবে নিয়োগ হয়েছেন প্রমাণিত হবে, তাঁদের ৭ মে থেকে রায়ের দিন অবধি প্রাপ্ত বেতন সুদ সহ ফেরত করতে হবে। ফলে সুপ্রিম রায়ের পর পুরোপুরি স্বস্তি পেল না ‘চাকরিহারা’রা। মামলার আগামী শুনানি রয়েছে ১৬ জুলাই।
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি ‘স্টিং অপারেশন’ নিয়ে তোলপাড়! এর মাঝেই বিরাট দাবি শাহজাহানের, বললেন…
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানির প্রথম ভাগে কমিশনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ৭০০০ প্রার্থী চাকরি অবৈধভাবে হয়েছিল। দ্বিতীয়ভাবে বলা হয়, সেই সংখ্যাটা ৮ হাজার ৩২৪। এখান থেকে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্ভবত কোনও অপরাধমূলক পরিকল্পনা আছে।
এদিকে গতকাল শীর্ষ আদালতে এসএসসি মামলার শুনানি চলাকালীন একাধিকবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও উঠে আসে। সুপার নিউমেরারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করার সময় রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়, কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর চাকরিহারাদের আইনজীবীর কথাতেও উঠে আসে অভিজিতের প্রসঙ্গ। তিনি আবার প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান। সেই সময়ই আইনজীবীকে থামিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট, শীর্ষ আদালত বলে, ‘আমরা মনে হয় মূল বিষয় থেকে সরে আসছি’।