বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসল ওএমআর না থাকাতেই যত জটিলতা! এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলার রায়দানের সময় কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছিল, এসএসসির সার্ভারে ওএমআর শিটের কোনও স্ক্যান কপি নেই। তদন্তের সময় উত্তরপত্রের কোনও স্ক্যান কপি অথবা ‘মিরর ইমেজ’ সিবিআই পায়নি। সার্ভারে স্ক্যান কপি না রেখেই হার্ড কপি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (SSC Chairman Siddhartha Majumdar)।
আগে বহুদিন ধরে সংরক্ষিত থাকতো ওএমআর শিট। তবে ২০১৬ সালে তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যানের (SSC Chairman) সময় নিয়মে বদল এনে কেবলমাত্র ১ বছরের জন্য উত্তরপত্র সংরক্ষন করা হচ্ছে। এদিকে যদি আসল উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি সার্ভারে থাকতো তাহলে কোন চাকরিপ্রার্থী যোগ্য এবং কোন চাকরিপ্রার্থী অযোগ্য তা অনেক আগেই জানা যেত।
বৃহস্পতিবার টিভি৯ বাংলার কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় সিদ্ধার্থ বলেন, হাই কোর্ট (Calcutta High Court) পুরনো ওএমআর শিটের (OMR Sheet) ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উত্তরপত্র সংরক্ষণের কোনও সঠিক সময় আছে কিনা জানতে চাওয়ায় এসএসসি চেয়ারম্যান বলেন, আসল উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি থাকে। মামলার মোকদ্দমার ব্যাপার না থাকলে সাধারণত প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেই পুরনো ওএমআর নষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে কোনও ভুল নেই।
আরও পড়ুনঃ SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন মোড়! ভোটের মাঝেই বিরাট পদক্ষেপ CBI-র! কপাল খুলবে যোগ্যদের?
একইসঙ্গে সিদ্ধার্থ জানান, সরকারের তরফ থেকে ১০ বছর সংরক্ষণের একটা পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রায় এক দশক পর গোলযোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। তবে একথাও প্রত্যেক বছর লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র সংরক্ষণ করে রাখা কোথাও গিয়ে কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এসএসসি চেয়ারম্যান এদিন স্বীকার করে নেন, আসল ওএমআর শিট থাকলে আইনি বিষয় এত বেশি জটিল হতো না।
এদিকে আবার এসএসসির তরফ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্রের স্ক্যানড কপি দেওয়া হয়েছে। ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রাপকদের আবার প্রশ্ন, তাহলে দুর্নীতির চিহ্ন মুছে ফেলতেই উত্তরপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে? ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলের সময় হাই করতে তরফ থেকে বলা হয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের তালিকা আলাদা করে দেয়নি কমিশন। সেই কারণেই সকলের চাকরি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত। অপরদিকে আজ সিদ্ধার্থ দাবি করেন, ৩টি হলফনামা জমা করে আদালতের কাছে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের গোটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।