বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের সবুজ সংকেত মেলার পর চলছে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সিলিং (Upper Primary)। সম্প্রতি শেষ হয়েছে প্রথম কাউন্সিলিং। তবে জানা যাচ্ছে প্রথম কাউন্সিলিং-এ হাজারেরও বেশি চাকরি প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অনেকে আবার চাকরি পেয়েও গ্রামের স্কুলে পড়াতে যেতে চান নি। যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্নও উঠছে।
আসছে দ্বিতীয় কাউন্সিলিং এর বিজ্ঞপ্তি
এরই মধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের দ্বিতীয় কাউন্সিলিং এর বিজ্ঞপ্তি দিতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Services Commission)। এক সপ্তাহের মধ্যেই আসবে বিজ্ঞপ্তি। এমনটাই আভাস দিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে তিনি এই নিয়ে কথা বলেন।
ঠিক কি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার?
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘আমাদের এক সপ্তাহ সময় দরকার। এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিলিং শুরু করার জন্য।’ এবার ওয়েটিং লিস্ট থেকে দুহাজার চাকরি প্রার্থী ডাক পেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, তিনি জানিয়েছেন, উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম কাউন্সিলিং-এ অনুপস্থিত চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যাটা এক হাজারেরও বেশি। মোট ১ হাজার ২৫ জন চাকরি প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, গ্রামে স্কুলে চাকরি পাওয়ায় ৯২ জন চাকরিতে যোগই দিতে চাননি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি দ্বিতীয় পর্যায়ে কাউন্সিলিং শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বদলে যাবে আবহাওয়া! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায়: আজকের আবহাওয়ার খবর
এদিকে গ্রামে স্কুল মিলতেই চাকরিতে ‘না’, এই বিষয়টি যথেষ্ট ভাবাচ্ছে শিক্ষিক মহলকে। এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। চাকরিপ্রার্থীদের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চলছে রাজ্য সরকার। চাকরির প্রথম কিছু বছর গ্রামে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে, এমনই নিয়ম আনতে চলেছে রাজ্য। কারণ শহরের তুলনায় গ্রামের বাচ্চারা অনেক বেশি সরকারি স্কুলের অপর নির্ভরশীল। এবার দ্বিতীয় কাউন্সিলিং এ কোন চিত্র উঠে আসে সেটাই দেখার।