বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ লড়াই এর পর পেয়েছেন তার ন্যায্য চাকরি। বেনিয়মের অভিযোগে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য করে মিলেছে শিক্ষিকার চাকরি। কিন্তু এত কিছুর পরেও ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হল ববিতা সরকারকে।
এসএসসি দুর্নীতির লড়াইয়ে অন্যতম মুখ ববিতা সরকার। তার অভিযোগ ছিল আইন বহির্ভূতভাবে তার নম্বর কমিয়ে দিয়ে অন্যায় ভাবে চাকরি দেওয়া হয় মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে। কলকাতা হাইকোর্ট সব দিক খতিয়ে দেখে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতাকে বেআইনিভাবে চাকরি নেওয়ার জন্য তার পদ থেকে অপসারিত করে।
এরপর সেই পদে বহাল হন ববিতা সরকার। ববিতা সরকারকে মন্ত্রী কন্যার পদে নিয়োগের পাশাপাশি হাইকোর্টের আরেকটি নির্দেশ ছিল, অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগের দিন থেকে এখনো পর্যন্ত পাওয়া বেতন হাইকোর্টকে ফেরত দিতে হবে। হাইকোর্ট সেই টাকা দেবে ববিতাকে।
অঙ্কিতা অধিকারীর আইনজীবির কথা অনুযায়ী, অঙ্কিতা ইতিমধ্যেই তার বেতনের টাকা দুই কিস্তিতে হাইকোর্টের রেজিস্টার এর কাছে জমা করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশিত সেই টাকা ববিতা সরকার পাননি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ববিতা সরকারের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম। বুধবার আদালতে এই কথা পেশ করেছেন তিনি। যার শুনানি হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার।
প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষা দেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালে ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল তার। যে ওয়েটিং লিস্টে তার নাম ছিল ২০ নম্বরে, অদ্ভুতভাবে দ্বিতীয় দফার কাউন্সিলিংয়ের পর তিনি জানতে পারেন তার প্রাপ্য নম্বর কমিয়ে ওয়েটিং লিস্টে তার নাম চলে গেছে ২১ নম্বরে। কাকতালীয়ভাবে লিস্টের ১ নম্বরে পৌঁছে যান মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা। সেখান থেকেই শুরু হয় আইনি লড়াই। এরপর প্রায় চার বছরের যুদ্ধের পর তার ন্যায্য চাকরিতে নিয়োগ হন ববিতা।