তালিকা বেরোতেই চলে এলেন? ‘দাগি অযোগ্য’দের মামলা খারিজ করে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

Published on:

Published on:

calcutta high court(28)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি ইস্যুতে (SSC Scam) তোলপাড় রাজ্য। হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে সুপ্রিম কোর্ট, একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তালিকায় নাম রয়েছে ১৮০৬ জনের। এদিকে এসএসসির প্রকাশিত দাগি তালিকা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। এদিন সেই মামলায় হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, অযোগ্যদের তালিকায় হস্তক্ষেপ করবে না একক বেঞ্চ।

‘দাগি’দের করা মামলা খারিজ করে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের | Calcutta High Court

এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ‘দাগি অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ভর্ৎসনা করল করে মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এসএসসির তালিকায় হস্তক্ষেপ করার জন্য এটি উপযুক্ত মামলা নয়। মামলাকারী ‘দাগি’রা পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে স্পষ্ট জানাল আদালত।

দাগি অযোগ্যদের উদ্দেশে হাই কোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “এত দিন কোথায় ছিলেন? যেই তালিকা প্রকাশ হল, আদালতে চলে এলেন।” “যথেষ্ট হয়েছে আর নয়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তালিকা প্রকাশের পরে কী ভাবে বলতে পারেন আপনারা দাগি অযোগ্য নন?” কড়া প্রশ্ন বিচারপতির।

মামলাকারীদের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, আপনারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে গিয়েছিলেন কি না? যদি তাঁরা স্কুলে না গিয়ে থাকেন, তবে আগে কেন আদালতে আসেননি? সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। তিঁনি আরও বলেন, “গত ১৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে আপনারা স্কুলে যেতে পারেননি। এখন কেন আবেদন করতে এসেছেন?”

উল্লেখ্য, সোমবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ‘দাগি’ তালিকাভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি-র নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারীরা। কীসের ভিত্তিতে তাঁদের ‘দাগি’ বলা হল সেই প্রশ্ন তোলা হয়। কমিশনের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল করেন, “এটা নিয়ে তর্ক করে লাভ নেই। এরা সকলেই অযোগ্য। এই সব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগ রয়েছে।”

আরও পড়ুন: বাড়বে DA, তবে পুরনো সব ভাতা উঠে যাবে? এই সরকারি কর্মীদের জন্য নয়া আপডেট সামনে

কল্যাণ বলেন, “সিবিআই যে তালিকা উদ্ধার করেছিল, তার সঙ্গে কমিশন সবটা মিলিয়ে দেখেছে। ওএমআর শিট কারচুপি করে চাকরি পেয়েছেন। এই প্রার্থীরা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন।” সবশেষে মামলাকারী ‘দাগি অযোগ্য’দের ভর্ৎসনা করে খালি হাতেই ফেরাল হাইকোর্ট।