বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সকলের সামনে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জড়িত থাকার ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে আর এর মধ্যেই এবার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে চলেছে, যেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন সকলকে হতচকিত করে তুলেছে।
সম্প্রতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী একটি অডিও ক্লিপ তুলে ধরেন, যেখানে কুড়ি লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফেল করা প্রার্থীদের চাকরিতে সুযোগ দেওয়ার বক্তব্য উঠে এসেছে। এমনকি ফাঁকা খাতা জমা দিলেও শুধুমাত্র টাকার জোরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও করা হয় ভাইরাল এই অডিও ক্লিপে। কথোপকথনের সময় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “আমরা তো এক লাখ টাকা নেব, বাকিটা অফিসের।” এরপর অন্য প্রান্ত থেকে বাজেটের প্রশ্নও উঠে আসে।
অডিও ক্লিপে পরবর্তীতে এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, “আমরা বিদ্যাসাগরের বিএড। তা সত্ত্বেও আমাদের কাছে অনেক টাকা দাবি করা হয়েছে, এখন মনে হচ্ছে নিজের কিডনি পর্যন্ত বিক্রি করতে হবে। সেই মুহূর্তে আবার অন্যপ্রান্তের ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, “আমরা ফেল করা প্রার্থীদেরও চাকরি করে দিই। শুধু তাই নয়, সাদা খাতা থাকলেও টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে পারেন।”
এই ক্লিপটি ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, “এটি কয়েক হাজার কোটি টাকার একটি দুর্নীতি মামলা। এখানে হয়তো জেলা প্রশাসন থেকে প্রধান শিক্ষক সকলেই জড়িত থাকতে পারেন। আমি এই অডিও ক্লিপটা একজন মামলাকারীর কাছ থেকে পাই। ধীরে ধীরে অনেক তথ্য উঠে আসবে।”
বর্তমানে এটি ভাইরাল হওয়ার পরেই শুরু হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি তরজা। শাসক দলকে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি যেমন একাধিক দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ঠিক তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূল নেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয় নিয়ে তৃণমূল সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। সরকার সবসময় চায় যে, সঠিকভাবে তদন্ত হয়ে দোষীরা শাস্তি পাক। তবে বিরোধী দলগুলি এটাকে নিয়ে শুধুমাত্র রাজনীতি করে চলেছে।”