কারও ৪ কারও ২! প্রশ্ন উঠতেই সবটা স্পষ্ট করল SSC, বলল, ওই নম্বর আসলে…

Published on:

Published on:

school service commission(1)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারেও এসএসসি (SSC) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সম্প্রতি একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক পদে নিয়োগের পরীক্ষার পর ফলপ্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। শনিবারের নতুন নিয়োগের প্যানেলের ইন্টারভিউ তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে কারও-কারও নামে পাশে রয়েছে ২, কোথাও আবার কারও নামের পাশে লেখা রয়েছে ৪। কি এগুলো? এই বিষয়েই এবার স্পষ্ট জানাল এসএসসি।

অভিজ্ঞতারই দাম, জানাল এসএসসি | School Service Commission

নতুন করে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরুর আগে এসএসসি জানিয়েছিল, অভিজ্ঞতার দাম দেওয়া হবে। সেই মতো লিখিত পরীক্ষার ৬০ নম্বর, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর বরাদ্দ করা হয়। এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে মোট প্রাপ্ত নম্বরের নিরিখেই তৈরি তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। তাতেই দেখা যাচ্ছে কারও-কারও পাশে রয়েছে ২ কারও আবার কারও পাশে রয়েছে ৪।

school service commission

কমিশন জানাচ্ছে, পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১০, তেমনই এক বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বরাদ্দ রয়েছে ২। অর্থাৎ অভিজ্ঞতার দাম দিয়েই ওই নম্বর দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, নিয়োগ হওয়ার পরও বিভিন্ন কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হয়ে থাকে। তাই নিজ-নিজ কাজে যে যেমন অভিজ্ঞ হয়েছেন সেই ভিত্তিতে ওই নম্বর দিয়েছে কমিশন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার মোট ১ হাজার ১৬১ পাতার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। মোট ২০ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে সেখানে। প্রসঙ্গত, এসএসসি তে মোট ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭ জন। এই চাকরির উপর নির্ভর করছে একাধিক হাজার হাজার চাকরিহারার ভাগ্য।

school service commission SSC

আরও পড়ুন: এখনও মেলেনি বকেয়া DA, এরই মধ্যে নবান্নে আইনি নোটিশ পাঠালো সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন, কি হতে চলেছে?

নিয়োেগ দুর্নীতির জেরে গত এপ্রিল মাসে প্রায় ২৬০০০ চাকরি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। এসএসসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, মে মাসের মধ্যে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করার জন্য ৩১ ডিসেম্বরের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করছে এসএসসি।