শিক্ষক নিয়োগে সুখবর! একাদশ-দ্বাদশের ফল ঘোষণার পরেই শূন্যপদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল SSC

Published on:

Published on:

SSC teacher recruitment vacancy rises again in West Bengal
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তবে ফল ঘোষণার পরই বিপাকে পড়েন বহু পরীক্ষার্থী। একসঙ্গে প্রচুর প্রার্থী ওয়েবসাইটে লগইন করায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে অনেকেই প্রথম দিনে ফল জানতে পারেননি। তবে শনিবারই চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য একটি নতুন ওয়েবসাইট খুলে দেয় কমিশন, যেখানে প্রত্যেকে তাঁদের ফলাফল দেখতে পান।

কী ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)?

ফল ঘোষণার পরেই এক বিশেষ ঘোষণা করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাজ্যে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। এই ঘোষণা হতেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।

একাদশ দ্বাদশ স্তরে কটি শূন্য পদ বাড়ানো হল?

এসএসসি (SSC) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ স্তরে মোট ১২,৫১৪টি শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা আরও ৭০০ থেকে ৮০০টি বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ঠিক কত পদ বাড়ছে, তা জানা যাবে বুধবার নাগাদ। বিকাশ ভবন থেকে বাড়তি শূন্যপদের হিসেব এলেই সেই অনুযায়ী ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রস্তুত করবে কমিশন।

সূত্রের খবর, ১০০টি শূন্যপদের জন্য ১৬০ জন প্রার্থীকে, অর্থাৎ ১:৬ অনুপাতে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে। নতুন প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শূন্যপদ বাড়ানোর। পাশাপাশি ছাত্র-শিক্ষক ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তাও ছিল। সেইমতো রাজ্য সরকার নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরে শূন্যপদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিকাশ ভবন থেকে পূর্ণ তালিকা এলেই ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি শুরু হবে।

ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে ধন্দে প্রার্থীরা

চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। কমিশনের (SSC) নির্দেশ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতার নম্বর এবং অভিজ্ঞতার নম্বর মিলিয়ে চূড়ান্ত স্কোর নির্ধারিত হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য সর্বাধিক ১০ নম্বর এবং অভিজ্ঞতার জন্যও ১০ নম্বর ধরা হয়েছে।

‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, “এখন শুধু লিখিত পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছি, তাই নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাই অনেক ক্ষেত্রে ভাগ্য নির্ধারণ করছে। এই তিনটি যোগ করেই তৈরি হবে নথি পরীক্ষার তালিকা। ফলে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।” মামলার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাওয়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

SSC teacher recruitment vacancy rises again in West Bengal

আরও পড়ুনঃ টাকা পেয়েও শুরু হয়নি বাড়িতে তৈরির কাজ! কারণ জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব নবান্নের

ফল প্রকাশের দিনই লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র আপলোড করে এসএসসি। কমিশন জানায়, দু-তিনটি বিষয়ে চারটি ভুল উত্তর পাওয়া গিয়েছে, তবে পরীক্ষার্থীদের সেখানে পূর্ণ নম্বর দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ থাকলেও এসএসসি-র (SSC) নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও আদালতের অনুমোদনের অপেক্ষায়। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন মামলার কারণেই নিয়োগের পরবর্তী ধাপ শুরু করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ফলে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন প্রবল দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন।