বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে সর্বত্রই চাকরির আকাল পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনকি, করোনার মত ভয়াবহ মহামারীর পর সেই অভাব আরও বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, অনেকেই প্রথাগতভাবে চাকরির পথে না হেঁটে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন ব্যবসার (Business) প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। পাশাপাশি, তাতে মিলছে ভালো অঙ্কের লাভও। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদেন আমরা এমন একটি ব্যবসার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যা বাড়ি থেকে শুরু করার মাধ্যমেই দেবে মোটা উপার্জনের সুযোগ।
এমনিতেই, ভারতকে “মশলার দেশ” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পাশাপাশি, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশ বিভিন্ন মশলার জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। শুধু তাই নয়, এই মশলাগুলিই ব্রিটিশ শাসকদের ভারতে আসতে বাধ্য করেছিল। এমতাবস্থায়, এই ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি মশলা তৈরির ইউনিট স্থাপন করতে হবে। এদিকে, মশলা হল এমন একটি জিনিস যা প্রতিটি রান্নাতেই কম-বেশি ব্যবহৃত হয়। যে কারণে বাজারে সবসময় এগুলির চাহিদা পরিলক্ষিত হয়।
এভাবে শুরু করতে হবে মশলা তৈরির ইউনিট: ভারতে বিভিন্ন ধরণের মশলার চাষ করা হয়। যেগুলিকে পরবর্তীকালে পেষাই করার মাধ্যমে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়। আর এইভাবেই, একবার বিনিয়োগ করেই প্রতি বছর মশলা তৈরির ইউনিট স্থাপনকারী ব্যক্তি প্রচুর আয় করতে পারেন। এমতাবস্থায়, আপনিও যদি মশলা তৈরির ইউনিট স্থাপন করতে চান, সেক্ষেত্রে এর জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা। এই খরচের মধ্যে মেশিন থেকে শুরু করে তা স্থাপনের খরচ সবই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পাশাপাশি, এই কাজের জন্য আপনি ঋণও পেতে পারেন। জানিয়ে রাখি যে, মশলা তৈরির ইউনিট স্থাপনের জন্য ব্যাঙ্ক আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনে একটি ঋণ দেবে। এছাড়াও, আপনি যদি চান তাহলে আপনি মুদ্রা ঋণ প্রকল্পের অধীনে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েও আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রতি বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হবে: এই কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ৩০০ বর্গফুট খালি জায়গা। আপনি এই জায়গায় একটি মেশিন বসাতে পারেন। যেটির সাহায্যে আপনি প্রতি বছরে ১৯৩ কুইন্টাল মশলা তৈরি করতে পারবেন। এমতাবস্থায়, বর্তমান সময়ে বাজারে ১ কুইন্টাল মশলার দাম হল প্রায় ৫,৪০০ টাকা। এভাবে সারা বছর ১৯৩ কুইন্টাল মশলা বিক্রি করতে পারলে মোট লাভ হবে ১০ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এই দাম থেকে, মেশিন খরচ, বিদ্যুৎ বিল, বাড়ি ভাড়া এবং শ্রমিক খরচ বাদ দেওয়া হলেও, আপনি বার্ষিক ন্যূনতম ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
অন্যদিকে, আপনি যদি বাড়ি ভাড়ার পরিবর্তে নিজের বাড়িতেই মশলা তৈরির ইউনিটটি শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার লাভের পরিমাণ আরও বাড়বে। এছাড়া মশলা বিক্রির জন্য সেটির প্রচার এবং মার্কেটিং করাও খুবই জরুরি। এর ফলে ক্রেতাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পাশাপাশি, মাথায় রাখতে হবে যে, মশলা বিক্রির ক্ষেত্রে প্যাকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে বিজ্ঞাপন এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে মশলার সহজলভ্যতাও বাড়াতে হবে। আর এই উপায়গুলি অবলম্বন করলেই ১ থেকে ২ বছরের মধ্যে আপনার মশলা তৈরির ব্যবসা সফলতা অর্জন করতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণও আপনি সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন।