মাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন চিঁড়ার ব্যবসা, প্রতি মাসে আয় হবে লাখ লাখ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অনেকেই চান এমন এক ব্যবসা শুরু করতে যেখানে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই উপার্জন করা যায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে, সঠিক ব্যবসা বেছে নিলে এবং পদ্ধতিগতভাবে চললে খুব সহজেই উপার্জন করা যেতে পারে ভালো অঙ্কের টাকা।

বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একটি দুর্দান্ত ব্যবসা সম্পর্কে জানাবো যা আপনি কম টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন এবং বিরাট লাভও করতে পারেন। খুব সহজেই চিঁড়া উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করে ভালো রকম ব্যবসার সুযোগ পেতে পারেন ইচ্ছুকরা।

সাধারণত চিঁড়াকে একটি পুষ্টিকর খাওয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাশাপাশি, চিঁড়াকে বেশিরভাগ সময়েই প্রাত:রাশের উপযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়াও, এটি তৈরি করা এবং হজম করা উভয়েই সহজ। এই কারণে, বর্তমানে চিঁড়ার বাজার দ্রুতহারে বাড়ছে। এমতাবস্থায়, আপনি একটি চিঁড়া উৎপাদন ইউনিট স্থাপন করে আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

Khadi and Village Industries Commission (KVIC)-দ্বারা প্রস্তুত একটি রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, চিঁড়া উৎপাদন ইউনিটের জন্য ব্যয় হতে পারে প্রায় ২.৪৩ লক্ষ টাকা। তবে এই কাজে সরকার আপনাকে ৯০% পর্যন্ত ঋণ দেবে। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র ২৫ হাজার টাকা দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

প্রায় ৫০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে এই ইউনিটটি স্থাপন করতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যবসায়ীরা। এর জন্য আপনাকে ১ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। একই সময়ে, আপনাকে চিঁড়া মেশিন, চালুনি, প্যাকিং মেশিন, ড্রাম ইত্যাদির জন্য আরও ১ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। এইভাবে, আপনার মোট ব্যয় হবে ২ লক্ষ টাকা। যেখানে কার্যকরী মূলধন হিসাবে ব্যয় হবে মাত্র ৪৩ হাজার টাকা।

poha recipe 1920x1080 1

এরপরে কাঁচামাল বাবদ আপনার খরচ হবে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এভাবে ১০০০ কুইন্টাল চিঁড়া উৎপাদন করতে উৎপাদন খরচ পড়বে প্রায় ৮.৬০ লক্ষ টাকা। আপনি ১০ লক্ষ টাকায় ১০০০ কুইন্টাল চিঁড়া বিক্রি করতে পারেন। অর্থাৎ, ১.৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

KVIC-র রিপোর্ট অনুসারে আরও জানা গিয়েছে যে, আপনি যদি আগে একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেন এবং গ্রামীণ শিল্প কর্মসংস্থান প্রকল্পের অধীনে ঋণের জন্য আবেদন করেন, তাহলে প্রায় ৯০ শতাংশ ঋণ পেতে পারেন। গ্রামীণ শিল্পের উন্নতির জন্য প্রতি বছর KVIC দ্বারা ঋণ দেওয়া হয়। আপনিও খুব সহজেই এই সুবিধা নিতে পারবেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর