চাকরির আশা ছেড়ে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা, ৬ মাসেই আয় হবে ১০ লক্ষ টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে চাকরির পথে না হেঁটেই লাভজনক চাষাবাদ বা ব্যবসার পথে ঝুঁকছেন অনেকেই। এতে খুব অল্প সময়েই বৃহৎ পরিমান উপার্জন করা সম্ভব। আপনি যদি কৃষিকাজের মাধ্যমে ভাল রোজগার করতে চান, তাহলে আজকে আমরা এমন একটি চাষের কথা জানাতে যাচ্ছি যার মাধ্যমে খুব কম সময়েই আপনি দারুণ লাভের মুখ দেখতে পারেন।

এই চাষের মাধ্যমে খুব সহজেই ৬ মাসের মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। আমরা এই প্রতিবেদনে আজ আলোচনা করব রসুন চাষ নিয়ে। এই চাষ করেই কৃষকরা লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন। মশলা হিসেবে এবং ওষধি গুণের কারণে রসুনের চাহিদা সবসময় বাজারে থাকে আকাশছোঁয়া। তাই, এই চাষ করলে লোকসানের সম্ভাবনা খুবই কম।

পাশাপাশি, ভারতের বাজারে এর চাহিদা সারা বছরই থাকে। মশলা হিসেবে ব্যবহার করা থেকে শুরু করে ওষুধ পর্যন্ত, এটি সাধারণ ভারতীয় রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এই চাষের জন্য কিছু পদ্ধতিগত উপায় মাথায় রাখতে হয়। বর্ষাকাল শেষ হলেই রসুন চাষ শুরু করতে হয়। সেই অনুযায়ী অক্টোবর ও নভেম্বর মাস এই চাষের পক্ষে উপযোগী।

রসুনের কুঁড়ি থেকে এই চাষ করা হয়। ১০ সেন্টিমিটারের দূরত্বে এগুলি বসাতে হয় যাতে এটি ভালোভাবে বাড়তে পারে। যে কোনো মাটিতেই এই চাষ করা যায়। তবে এটা এমন জমিতে করা উচিত যেখানে জল স্থির থাকে না। প্রায় ৫-৬ মাসের মধ্যেই এগুলি বিক্রির জন্য তৈরি হয়ে যায়।

download 3 20

রসুনের অনেক জাত রয়েছে। এক একর জমিতে রসুন ৫০ কুইন্টাল পর্যন্ত ফলন দিতে পারে। প্রতি কুইন্টাল পিছু রসুনের দাম হয় ১০,০০০ থেকে ২১,০০০ টাকা। যদিও একর প্রতি খরচ হয় প্রায় ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এমতাবস্থায়, এক একর জমিতে Riyawan জাতের রসুন চাষ করে কৃষকরা ৫ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

Riyawan জাতের রসুন অন্যান্য রসুনের জাতের তুলনায় ভালো বলে মনে করা হয়। এর এক একটির ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রসুন আচার, সবজি, চাটনি এবং মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, উচ্চ রক্তচাপ, পেটের রোগ, হজমের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, ক্যান্সার, বাত, এবং রক্ত বিশুদ্ধ করতেও রসুন ব্যবহার করা হয়।

এটির অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার গুণাগুণের জন্য এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান সময়ে রসুনের ব্যবহার শুধু মসলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এখন প্রক্রিয়াজাতকরণের পর পাউডার, পেস্ট, চিপস সহ এটি দিয়ে অনেক পণ্য তৈরি করা হচ্ছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর