বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনেকেই প্রথাগতভাবে চাকরির পথে না হেঁটে বিভিন্ন ব্যবসা (Business)-র প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। এমতাবস্থায়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ওই ব্যবসাগুলির মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে দুর্দান্ত লাভও। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে ঠিক সেইরকমই এক লাভজনক ব্যবসার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যেটি খুব সহজেই যে কেউ শুরু করতে পারেন।
মূলত, আজ আমরা আপনাদের পলিউশন টেস্টিং সেন্টার (Pollution Testing Center) শুরু করার মাধ্যমে ভালো উপার্জনের বিষয়টি তুলে ধরবো। এটি এমন একটি ব্যবসায়িক পদ্ধতি যেটিতে দারুণ লাভ পাওয়া যায়। এমনিতেই আমাদের দেশে সমস্ত যানবাহনকেই পলিউশন টেস্ট করাতে হয়। যার মাধ্যমে মেলে একটি সার্টিফিকেট। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও পলিউশান টেস্টিং সেন্টার খুলে সেটিকে কাজে লাগাতে পারেন।
কিভাবে এটি শুরু করবেন: প্রথমেই জানিয়ে রাখি যে, পলিউশন সার্টিফিকেট ৩,৬ এবং ১২ মাসের জন্য জারি করা হয়। আর ওই সার্টিফিকেটই জানিয়ে দেয় যে, আপনার গাড়িটি পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি পলিউশন টেস্টিং সেন্টার খুলতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে স্থানীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এদিকে, এই লাইসেন্স অনলাইন এবং অফলাইন উভয় প্রক্রিয়ার সাহায্যেই আবেদন করা যেতে পারে।
এই লাইসেন্স পেতে হলে ফি হিসেবে ৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। সাথে ১০ টাকার স্ট্যাম্প এফিডেভিটও দিতে হবে। এর পাশাপাশি, পলিউশন টেস্টিং সেন্টার খোলার জন্য খালি জমি থাকা বাধ্যতামূলক। যা আপনি ভাড়াও নিতে পারেন। এমতাবস্থায়, এক বছরের জন্য লাইসেন্স জারি করা হয়, যা প্রতি বছর রিনিউ করতে হয়।
কত হবে খরচ: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পলিউশন টেস্টিং সেন্টারে একটি কেবিন থাকা বাধ্যতামূলক। যার রঙ হতে হয় হলুদ। কারণ, এই রঙটি সরকারই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এদিকে, কেবিনের রঙ হলুদ রাখার মূল কারণ হল, এটি দূর থেকে সহজেই দেখা যায়। পাশাপাশি, এটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা প্রায় ২.৫ মিটার হওয়া উচিত।
লাভের পরিমান: এমতাবস্থায়, একটি পলিউশন টেস্টিং সেন্টার খোলার জন্য আপনাকে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা খরচ করতে হতে পারে। আপনি কোনো শহরে বা হাইওয়ের পাশে এটি চালু করতে পারেন। আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে সরকার প্রদত্ত মুদ্রা লোনও নিতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে একবারই ২ লক্ষ টাকার মত বিনিয়োগ করতে হবে। তারপরে আপনি প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। এমতাবস্থায়, আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় করতে পারেন এই সেন্টারের মাধ্যমে।