বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বায়োমট্রিক অ্যাটেণ্ডডেন্স সিস্টেমগুলি এমন স্মার্ট ডিভাইস যা কার্যকরী দিনগুলি, সময় এবং সমস্ত কর্মচারীর আউট-টাইম রেকর্ড করে। ম্যানুয়াল উপস্থিতি সিস্টেমটি সহজেই পরিচালনা করা যায় এবং যে কোনও কর্মচারী ম্যানুয়াল উপস্থিতি রেজিস্টারে ভুল তথ্য দিতে পারে কিনতু এই পদ্ধতিতে তা সম্ভব নয়।
কর্মচারীদের কাজে ফাঁকি আটকাতে অনেকদিন ধরেই কর্পোরেট সেক্টর গুলি এই পদ্ধতির ব্যবহার করে চলেছে। এই সময় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার ও এই ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। এবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে শুরু হবে বায়োমট্রিক অ্যাটেণ্ডডেন্স প্রক্রিয়া। হাই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর পর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি যুক্ত হতে চলেছে এই সিস্টেম। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে মডেল পাইলট প্রজেক্ট করে বায়োমেট্রিক অ্যাটেণ্ডডেন্স এর ব্যাবহার শুরু করেছিল। তাতে অভূতপূর্ব সারা মেলে। এবার রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় এ এই ব্যাবস্থা চালু করতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
এই অত্যাধুনিক হাজিরা প্রক্রিয়া প্রথম চালু হয় বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত খাতড়া মহকুমার কংসাবতী শিশু শিক্ষা নিকেতন বিদ্যালয়ে।জানা গিয়েছে আরও কিছু বিদ্যালয়ে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে এই ব্যবস্থা – বাঁকুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গ বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়, লালবাজার হিন্দু প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং গোয়েঙ্কা প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বায়োমেট্রিক সময় এবং উপস্থিতি সিস্টেমগুলি কর্মচারীদের আঙ্গুলের ছাপগুলি ব্যবহার করে যাচাই করে যে প্রকৃতপক্ষে প্রতিদিন কাজ থেকে কারা প্রবেশ করছে এবং ক্লক আউট করছে। সিস্টেমটি কর্মচারীর আঙুলটি স্ক্যান করে, স্থানাঙ্কগুলি নির্ধারিত হয় এবং তারপরে সিস্টেমটি আঙুলের ছাপের শেষ পয়েন্ট এবং ছেদগুলি ম্যাপ করে।