বাংলা হান্ট ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় উপাচার্য, মুখ্যসচিবের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পৌঁছেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চ্যান্সেলর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিস ডাকতে পারেন তিনি। এদিকে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিস। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গাড়ির উপরে বসে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে ক্যাম্পাসের বাইরের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন এবিভিপি সমর্থক পড়ুয়ারা।
ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ABVP আয়োজিত ছাত্রদের একটি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সেখানে আসেন। সেখানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে চড়ান পড়ুয়ারাও। এমনকি দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান পর্যন্ত।
আজ দুপুরে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তখন তাকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা, এমনকি বিক্ষোভ দেখানোও শুরু করেন তারা। ঘটনাচক্রে যাদবপুরে পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করেন যে কোনমতেই বাবুলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না যাদবপুর ক্যাম্পাসে। শুধু তাই নয় বাবুলের চুল জামা ধরে টানাটানি শুরু করেন সকলে। ‘বাবুল গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। ধাক্কাধাক্কিতে বাবুল একবার পড়েও যান।
ঘটনাচক্রে পরিস্থিতি এমনই অপ্রীতিকর হয়ে উঠেছে সেখানে হাজির হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বাবুলকে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আসানসোলের সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যে কাজের জন্য এসেছেন তা পূরণ করবেনই। এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির এই নেতা। সংগঠকরা দাবি জানিয়েছেন যে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই বাবুলকে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তে। পরে উপাচার্যের মধ্যস্থতায় সভামঞ্চে পৌঁছন বাবুল।
এই ঘটনায় এসএফআই দাবি জানিয়েছে তারা প্রথমে বাবুলকে বাধা দেয়নি। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে তাদের মূল অভিযোগ। তারা দাবি করেছেন যে বাবুল ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলার মিথ্যে অভিযোগ আনেন।’ যাদবপুর ছাত্রদের আর একাংশের দাবি দাবি, ধাক্কাধাক্কি চলাকালীন বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢুকতে আটকাতে বাধ্য হন এসএফআই সহ এবিভিপির বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।