বাংলা হান্ট ডেস্ক: টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলা হবে কিনা, তা নিয়ে এখন সরকারের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তার আগেই নতুন টালা ব্রিজ নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষার জন্য ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার ই-টেন্ডার ডাকা হল।
সব কাজই প্রায় শেষ, টালার নতুন সেতু নির্মাণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নতুন করে টালা ব্রিজ তৈরি করতে মাটি পরীক্ষার রিপোর্ট ১৪ দিনের মধ্যে নবান্নে দিতে হবে। আজ এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পূর্ত দফতর।
উল্লেখ্য, বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে টালা ব্রিজে, বিশাল ভোগান্তি ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। তাদের বেশিরভাগ জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, একদিকে যেমন দুম করে টালা ব্রিজে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু অন্যদিকে এই অচলাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন তথ্যের কোনটাই তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। কোন বাস কোন দিকে যাবে তাও জানতে পারছেন বলেই অভিযোগ যাত্রীদের।
যে রাস্তা আগে ৩০ মিনিটে পেরোনো যেত সেই রাস্তা বর্তমানে পার করতে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। শুধু তাই নয় উল্টে টাকাও খরচ হচ্ছে আগের থেকে অনেক বেশি। দুর্ভোগে পড়েছেন প্রত্যেকেই। বর্তমানে নিত্যযাত্রীরা দাবি জানিয়েছেন যে, ‘ব্রিজ বন্ধ থাকা কালীন সাটল বা অটো রুট চালু হোক’, তাতে এই পরিস্থিতির অন্তত খানিকটা স্বাভাবিক হবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা তথা কলেজছাত্র সায়ন কাঞ্জিলালের কথায় প্রতিদিন শ্যামবাজারের মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজে পড়ি, “প্রতিদিন টালা ব্রিজ হয়েই কলেজে যতে হয়, এখন ব্রিজ বন্ধ হওয়ায় যে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, তা আর বলার মত নয়। কলেজে ক্লাস থাকে নির্দিষ্ট সময়ে, প্রতিদিনই কোন না কোন ক্লাস মিস হয়ে যাচ্ছে, কারণ যাওয়ার সময় এর কোন ঠিক নেই, কোনোদিন লাগছে এক ঘন্টা, কোনোদিন লাগছে দু’ঘণ্টা, কোনোদিন আবার আড়াই ঘন্টা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতির সুরাহা না হলে, আরো সমস্যার মুখে পড়তে হবে আমারই মতন বহু স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের”।
উল্লেখ্য, চিড়িয়ামোড় থেকে ঘুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাস। একদিকে দমদম রোড হয়ে, নাগের বাজার, বেলগাছিয়া হয়ে ফাইভ পয়েন্টে উঠছে বাস। অন্যদিকে শ্যামবাজার থেকে রাজবল্লভ পাড়া দিয়ে লকগেট হয়ে কাশিপুর দিয়ে ডানলপ যাচ্ছে বাস।