বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যা আশঙ্কা ছিল তাই সত্যি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অংশ মেটাল না রাজ্য সরকার। উল্টে সুপ্রিম কোর্টে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের এই পদক্ষেপে ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা। এরই মধ্যে বড় মন্তব্য করলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।
ডিএ ইস্যুতে কী বললেন বিকাশ রঞ্জন? Dearness Allowance
শুক্রবার ডিএ মামলায় রাজ্যের পদক্ষেপের পর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই আবেদনের বিরোধিতা করব। তবে, রাজ্য সরকার আসলে চাইছে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই বিষয়টা ঠেকিয়ে রাখতে। ভোটে পরাজিত হলে নতুন সরকারের ঘাড়ে দায়িত্ব বর্তাবে সেই কারণে।”
রাজ্যের পদক্ষেপের পর মূল মামলাকারী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ করতে পারে বলে আমরা আগাম অনুমান করেছিলাম। তাই বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পরে মুখ্যসচিবকে একটি নোটিস পাঠিয়েছি।”
তিনি সাফ বলেন, “আমরা যে আগামী দিনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করব, সে কথা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে ইতিমধ্যেই আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে অসুস্থ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ! মাত্র ৪১-এ প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি
মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে নোটিস ধরিয়েছে মূল মামলাকারী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। মূল মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবী মারফত ইমেইল করে নোটিস পাঠিয়েছেন। আদালত অবমাননার যুক্তিতে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে রাজ্য (West Bengal Government) জানায়, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার অংশ রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। তাই সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ৬ মাস আরও অতিরিক্ত সময় চাইল সরকার।
রাজ্য সরকার শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনেই ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার বলে জানানো হয়েছে। আদালতে রাজ্যের আরও আবেদন, যেহেতু নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখার কথা বলা হয়। একবার কর্মচারীদের এই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে গেলেও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য।