বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া ডিএ (DA) ইস্যুতে টালবাহানা অব্যাহত। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) অংশ মেটায় নি রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত ৬ মাস সময় চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে সরকার। সুপ্রিম নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে রাজ্য।
বকেয়া ডিএ ইস্যুতে তোলপাড় | Dearness Allowance
সরকার তরফে ডিএ মামলায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন সরকারি কর্মীরা। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্মীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম শুক্রবার বলেন, “পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেই যে তা গৃহীত হবে এমন কোনও কথা নেই। সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলার নোটিস দেওয়া হয়েছে অর্থসচিব ও মুখ্যসচিবকে। ডিএ দিতেই হবে।”
উল্লেখ্য, শুক্রবারই মুখ্যসচিব-অর্থসচিবকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে মূল মামলাকারী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। মূল মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় তাঁর আইনজীবী মারফত ইমেইল করে নোটিস পাঠিয়েছেন। আদালত অবমাননার যুক্তিতে দেওয়া হয়েছে নোটিশ।
ফিরদৌস শামিম স্পষ্ট বলেন, ডিএ বেতনেরই অংশ। বাজেট করার সময় সেই হিসেব করতে হয়। রাজ্য সবদিকে খরচ করছে, আর সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে বললেই কোমর ভেঙে যাচ্ছে। আইনজীবী বলেন, এভাবে সরকারি কর্মীদের ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হল বেতন হ্রাস করা। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে বেতনের সামঞ্জস্য রাখতেই ডিএ প্রদান করা হয়।
এদিকে, ডিএ মামলায় রাজ্যের পদক্ষেপের পর আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এই আবেদনের বিরোধিতা করব। তবে, রাজ্য সরকার আসলে চাইছে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই বিষয়টা ঠেকিয়ে রাখতে। ভোটে পরাজিত হলে নতুন সরকারের ঘাড়ে দায়িত্ব বর্তাবে সেই কারণে।” সব মিলিয়ে ডিএ ইস্যুতে এখন তুঙ্গে তরজা।