বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বাংলাদেশের ওষুধ বিলিকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার থেকেই তুলকালাম রাজ্য জুড়ে। এই ওষুধ নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কও ছড়ায় এলাকায়। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধী শিবির। কিন্তু অবশেষে এই ওষুধ প্রসঙ্গে মুখ খুলল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
গত মঙ্গলবার সামনে আসে এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে রোগীদের দেওয়া হয়েছিল ডক্সিসাইক্লিন ক্যাপসুল। সেই ওষুদের উপর লেখা ছিল, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। ক্রয় বিক্রয় আইনত অপরাধ।’ এই ওষুধুগুলিকে ঘিরেই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। বাংলাদেশের ওষুধ বাংলার হাসপাতালে কেন তা নিয়ে সোচ্চার হয় বিরোধীরা।
বিরোধীরা দাবি করে যে বাংলাদেশ থেকে ওষুধ পাচার হচ্ছে রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা চালাচ্ছে মমতার সরকার, ওঠে এই অভিযোগও। এই ব্যাপারে তখন কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি জানান যে বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। উল্লেখ্য, ওষুধগুলিতে লেখা ছিল যে সেগুলির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
পুরো বিষয়টির তদন্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করে নন্দীগ্রাম জেল স্বাস্থ্য দপ্তর। বুধবার এই প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুলল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, সমস্ত ওষুধগুলিই বৈধ এবং নিয়ম মেনেই সরবরাহ করা হয়েছে তা। গত ৩ জুন ইয়াসের সময় বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ মন্ত্রক সাহায্য স্বরূপ এই ওষুধগুলি পাঠিয়েছিল বাংলায়। ডি এইচ এস অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘সাহায্য হিসেবে পাওয়া ওই ওষুধগুলি গত ৫ এবং ৭ জুন হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় পাঠানো হয়েছিল। এই সব ওষুধ বৈধ এবং তা নিয়ম মেনেই সরবরাহ হয়েছে।