বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তখন অনেকেই তার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল। কিন্তু অ্যান্ডারসন, রবিনসনদের দুরন্ত বোলিংয়ের দাপটে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে বাবর আজমদের ৭৪ প্রাণে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলো ইংল্যান্ড টেস্ট দল। চেষ্টা করেও হার এড়াতে পারলেন না বাবর আজমরা।
টসে জিতে রাওয়ালপিন্ডির পাটা পিচে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্টোকস। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে দুই ওপেনার ক্রলি এবং ডাকেট শতরান করেছিলেন। এরপর ৩ ও ৫ নম্বরে নেমে শতরান করেছিলেন অলি পোপ ও হ্যারি ব্রুকস। প্রত্যেকেই ওডিআই ম্যাচের ঢঙয়ে ব্যাটিং করেছিলেন। ১৮ বলে ৪১ রান করেছিলেন স্টোকস। ১০১ ওভার ব্যাটিং করে ৬৫৭ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এরপর ব্যাটিং করতে নেমে শফিক, ইমাম উল হক, বাবর আজমের শতরানে ভর করে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু উইলিয়াম জ্যাকসের বোলিং ৭৮ রানের লিড এনে দেয় ইংল্যান্ডের হাতে। ২ উইকেট নেন লিচ। অর্ধশতরান করেন আঘা সালমানও।
এরপর তৃতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ফের একবার নিজেদের আগ্রাসী ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান তোলার পর ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় অর্ধশতরান করে ওপেনার জ্যাক ক্রলি, জো রুট, হ্যারি ব্রুকস। পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৯ এবং হাতে সময় ছিল এক দিনেরও বেশি। এইসময় অনেকেই মনে করেছিলেন স্টোকস বড্ড বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলছেন।
কিন্তু পঞ্চম দিনে অ্যান্ডারসন দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকে ঘোরাতে শুরু করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন রবিনসন। দুজনেই ৪টি করে উইকেট নেন। সাউদ শাকিল অর্ধশতরান করে পাকিস্তানকে ম্যাচে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন ইমাম উল হক, মহম্মদ রিজওয়ানও। কিন্তু শেষপর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৭৪ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড। তাদের এই নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট যে কোনওরকম পরিস্থিতিতে ম্যাচে ফলাফল আনতে সক্ষম এবং টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে, সেটা আবারও প্রমাণিত হলো।