অদ্ভুত কান্ড: কেন্দ্রীয় দল হাসপাতালেই, সেই ফাঁকে ঘুরতে বেরিয়ে পড়লেন করোনা রোগী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সবে মাত্র এম আর বাঙুর (MR Bangur)হাসপাতালে ঢুকেছে। হঠাৎ হাসপাতালের মেন গেটের ভিতর থেকে ভেসে এল কথাগুলো, ‘‘সরে যান, উনি করোনা পজিটিভ পেশেন্ট। সবাই সরে যান।’’ আতঙ্কে তত ক্ষণে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। পড়িমরি করে যে যার মতো ছিটকে যাচ্ছেন। তখনই দেখা গেল এক প্রৌঢ়কে। পরনে সাদা স্ট্রাইপ দেওয়া কালো ট্র্যাক প্যান্ট, উপরে সাদা-কালো ছাপের টি-শার্ট।

corona 1602x900 1

বৃহস্পতিবার বেলা তখন দেড়টা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসায় হাসপাতাল জুড়ে সাজ সাজ রব। চিকিৎসক থেকে হাসপাতালকর্মী— সকলেই ব্যস্ত। তার মধ্যেই হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। প্রায় সকলের অলক্ষ্যেই তিনি হাসপাতালের চৌহদ্দি পেরিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশপ্রাণ শাসমল রোডে। তার পর হাসপাতালের গা ঘেঁষে ফুটপাথ ধরে তিনি হাঁটতে শুরু করেন টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনের দিকে।

corona 21

একদিকে যখন হাসপাতালে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঠিক তখনই ‘নাটক’ এম আর বাঙুর কোভিড হাসপাতালে। মুখে মাস্ক পরে এক করোনা ‘রোগী’ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে হাঁটা লাগিয়েছেন! আর তাঁকে নিয়েই শুরু হয়ে গেল তোলপাড়। ধর ধর চিৎকার তখন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল চত্বরে। এদিকে ওই ‘রোগী’ তখন হাসপাতালের বাইরের ফুটপাত ধরে টালিগঞ্জ মেট্রোর দিকে মুখ করে হাঁটা লাগিয়েছেন। এই ঘটনায় তুমুল বিতর্ক বাধল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে।

coronavirus testing everlywell

অভিযোগ, ওই ‘রোগী’ নাকি হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন! ঘটনাচক্রে ওই ‘রোগী’ যখন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ফুটপাথ ধরে হাঁটা লাগিয়েছেন, ঠিক তখনই হাসপাতালের ভিতরে উপস্থিত কেন্দ্রীয় দল। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর সোওয়া ১টা। কী ঘটে তখন? সাদা কালো ছোপ ছোপ টি-শার্টের সঙ্গে কালো রঙের ট্রাক স্যুট পরা, ৬০-৬৫ বছরের এক ব্যক্তি মুখে মাস্ক নিয়ে হাসপাতাল ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই কোনক্রমে দেওয়াল ধরে ধরে তাড়াতাড়ি হেঁটে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাইরের ফুটপাথে।

এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের তরফে কিংবা সরকারের তরফে এর কোনও উত্তর নেই। তবে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত কেউ বলছেন , ওই প্রৌঢ় করোনা ‘পজেটিভ’। তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি। আবার কেউ কেউ বলছেন, তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ঠিকই, তবে এখনও রিপোর্ট আসেনি। আবার কারোও দাবি, ওই প্রৌঢ়কে অ্যাম্বুল্যান্স নামিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। তাই তিনি ‘পালাচ্ছিলেন’! সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় দল যখন কোভিড  হাসপাতাল পর্যবেক্ষণ করছেন, ওয়ার্ডে ঢুকে রোগীদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।


সম্পর্কিত খবর