বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডব্লিউবিসিএস-এর মতো পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনের জন্য লাগে পরিশ্রম, অধ্যাবসা ও একাগ্রতা। তবে এর সাথে টাইম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটি চাকরি করতে করতে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু পরিশ্রম ও অধ্যাবসা থাকলে যে সাফল্যকে স্পর্শ করে দেখা যায়, তার প্রমাণ দিয়েছেন মৃন্ময়ী।
২০১৯ সালের WBCS-পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে মৃন্ময়ী চট্টোপাধ্যায় ১২ নম্বর ব়্যাঙ্ক করেন গোটা রাজ্যে। বর্তমানে তিনি সামলাচ্ছেন বাঁকুড়ায় গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বিডিওর দায়িত্ব। একটি সংবাদমাধ্যমকে মৃন্ময়ী জানান, নার্সিং পাশ করার পর একটি সরকারি হাসপাতালে স্টাফ নার্সের পদে তিনি যোগদান করেন।
আরোও পড়ুন : প্রেমিকের হাত ধরে উধাও স্ত্রী! আনন্দে আত্মহারা স্বামী, ‘নিজেকে শুদ্ধ করছি’ বলেই দুধ দিয়ে করলেন স্নান
প্রথমে সিউড়ি জেলা হাসপাতালে, তারপর আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্টাফ নার্সের দায়িত্ব সামলেছেন। অত্যন্ত চাপের এই কাজের মধ্যেও কীভাবে নিয়েছেন পরীক্ষার প্রস্তুতি? এ প্রসঙ্গে মৃন্ময়ী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘চাকরির সময় শিফটিং ডিউটি ছিল। মর্নিং শিফট থাকলে রাতে পড়তাম। নাইট শিফট থাকলে বাড়ি ফিরে একটু ঘুমিয়ে সময় বের করে পড়াশোনা করতাম।’
আরোও পড়ুন : পাহাড়ে যাচ্ছেন? সাবধান! বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা, বড় বিপদ শিলিগুড়িতে
মৃন্ময়ী বলেন, এই সময়টাতে তিনি নিজেকে আপডেট রাখা, মক টেস্ট দেওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রস্তুত করেছেন।পড়াশোনা করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘প্রতিদিন কী কী পড়তে হবে সেটা আগে থেকে ঠিক করে নিতাম। তারপর সারাদিনে যেভাবেই হোক সময় বের করে সেই বিষয়টা শেষ করতাম।’ প্রিলিমিনারি (Prelims Preparation) পরীক্ষা ও মেন পেপারের (Main Paper Preparation) প্রস্তুতি আলাদাভাবে কি নেওয়া উচিত?
এই প্রসঙ্গে মৃন্ময়ীর মত, ‘একসঙ্গেই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। অপশনাল পেপার প্রিলি-তে থাকে না, তবুও শুরু থেকেই অপশনাল পেপারে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। এই পেপারেই মেক অর ব্রেক- হয়ে যায়। ভাল পড়ুয়ারা জেনারেল স্টাডিজে প্রায় কাছাকাছি নম্বর পান, কিন্তু এই অপশনাল পেপারের নম্বরই জায়গা করে দেয়। ইন্টারভিউ-তে বসব এমন ভেবেই প্রথম থেকে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।’