নাগরিকত্ব সংশোধন বিল (CAB) পাস হয়ে CAA আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে কট্টরপন্থীদের উপদ্রব ও গুজব খবর ব্যাপক হারে চলছে। CAA এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন শহরে উপদ্রবকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার কাজে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে পশ্চিবঙ্গে লুঙ্গী বাহিনী বিগত কয়েকদিনে যে উপদ্রব করেছে তার দায় হিন্দুত্ববাদীদের উপর চাপানোর প্রয়াসও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।
বেশ কিছু বিক্রিত সংবাদ মাধ্যম রেল স্টেশনে আগুন লাগানো, ট্রেন ভাঙচুর করার দায় লুঙ্গির বাহিনীর মাথার উপর থেকে সরিয়ে হিন্দুত্ববাদী ও RSS কর্মীদের উপর দিচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অর্থাৎ লুঙ্গি বাহিনীকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু এই নয় কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে যারা CAA এর বিরোধিতা করছে তারা নিরীহ এবং নিরীহ লোকদের উপর UP পুলিশ গুলি চালিয়েছেন। যদি একটা ভিডিও সামনে আসার পর মিথ্যার উপর থেকে পর্দা সরে এসেছে।
আসলে উত্তরপ্রদেশে CAA এর বিরোধিতাকারী ১৮ জন গুলি খেয়ে নিহত হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা শুধু সালমানের উপর গুলি চলার বিষয়টি জানে বাকিগুলো সম্পর্কে তাদের কাছে সঠিক তথ্য নেই।সুলেমান পুলিশের বন্ধুক কেড়ে নিয়ে পুলিশের উপরেই গুলি চালিয়েছিল। তাই পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালিয়ে ছিল। যদিও কিছু সংবাদ মাধ্যম বিষয়টিকে এক তরফা পুলিশের উপর চাপিয়ে ছিল বলে অভিযোগে উঠেছিল। সংবাদ মাধ্যম সুলেমানকে UPSC এর পরীক্ষার্থী বলেছিল। অন্যদিকে সুলেমান যে পলিশের উপর গুলি চালিয়ে ছিল তা বেশকিছু সংবাদ মাধ্যম এড়িয়ে গেছিল।
কিছু সংবাদ মাধ্যম যোগী সরকার (Yogi Aditya nath) ও UP পুলিশের উপর পুরো দোষারোপ চাপিয়ে দিয়েছিল। তবে এখন UP পুলিশ CAA এর বিরোধিতাকারীদের দ্বারা গুলি চালানোর ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে কালো কাপড় মুখে বেঁধে আতঙ্কবাদীদের ন্যায় রিভলবার নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে এক কট্টরপন্থী।
UP পুলিশের দ্বারা ভিডিও প্রকাশের পর বহু মিথ্যার পর্দাফাঁস হয়েছে। আসলে দাবি করা হচ্ছিল পুলিশ ইচ্ছা করে বিরোধকারীদের উপর গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ স্পষ্ট জনিয়ে ছিল যে CAA এর বিরোধের নামে অপরাধীরা রিভলবার নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমন করেছিল। তাই পাল্টা জবাবে পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছিল। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আগ্নেয় অস্ত্র দ্বারা আঘাতের কারণে ৬২ জন পুলিশ আহত হন। অন্যদিকে পাথর ছুঁড়ে ২৮৮ জন পুলিশ কর্মীকে আহত করা হয়েছে।