ফের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়! পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে যা করা হল পড়ুয়ার সাথে..শুনে আঁতকে উঠবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওই অধ্যাপক পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরোক্ষভাবে যৌন প্রস্তাব দেন। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় দুই সিনিয়র ছাত্রের মাধ্যমে অভিযুক্ত অধ্যাপক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব পাঠায়।

ছাত্রী দাবি করেছে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুই সিনিয়র ছাত্র তাকে বলেন, ‘‘ভাল ভাবে পরের পরীক্ষাগুলো দিতে চাইলে ….স্যরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে হবে। বাকি কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, তা আমরা দেখে নেব!’’ আতঙ্কিত ওই ছাত্রী গোটা ঘটনা ইমেল মারফত জানান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শীর্ষ পদাধিকারীকে।

আরোও পড়ুন : সৌরজগতে খোঁজ মিলল নবম গ্রহের সম্ভাব্য অবস্থান? বড় তথ্য সামনে আনলেন বিজ্ঞানীরা, জানলে হবেন অবাক

সেই ইমেলে ছাত্রী ঘটনার দিন ও তার আগে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। ওই ছাত্রী লিখেছেন,  ‘‘আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছি। আমি জানি না আমার এর পর কী করা উচিত। কেন আমার সঙ্গেই এমন হচ্ছে। আমার সম্মান নিয়ে টানাটানি হচ্ছে। আমি শুধুই সুবিচারের আশা করছি।’’

আরোও পড়ুন : রেহাই পাবে না কোনো জেলাই! একটু পরই উঠবে ঝড়, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির হাই অ্যালার্ট, আবহাওয়ার মেগা খবর

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ওই ছাত্রী লিখেছেন, কলকাতার বাসিন্দা নন তিনি। গ্রাম থেকে কলকাতায় এসেছেন পড়াশোনা করতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলে জানতেন তিনি। স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছিলেন। ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক ও ৭৫ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

৭৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন সাম্মানিক স্নাতক স্তরে। যাদবপুরে ভর্তির মেধাতালিকায় দখল করেছিলেন প্রথম স্থান। এই ছাত্রী জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক গ্রাম থেকে আসা ছাত্রীর এত ভালো নম্বর ভালো চোখে দেখেননি। তাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই ক্লাসে হাসি-ঠাট্টা করতেন শিক্ষক। তবে বিগত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ দেখে ওই ছাত্রীর মনে হয়েছে যে প্রথম দিন থেকেই তিনি ওই শিক্ষকের ‘টার্গেট’ হয়ে গিয়েছিলেন।

Jadavpur University

একটি বেসরকারি সংবাদপত্রকে এই ছাত্রী জানিয়েছেন, ‘‘আমি শারীরিক এবং মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। পরীক্ষা চলছে। কিন্তু আমি পড়াশোনা করতে পারছি না। রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোতে হচ্ছে। এখনও দু’ বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাকে পড়াশোনা করতে হবে। আগামী দিনগুলো কী ভাবে কাটবে, তা ভেবে আতঙ্কে ভুগছি আমি।’’

 

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর