বাংলাহান্ট ডেস্ক: সরকারি সুবিধা নিতে চেয়ে নিজের স্ত্রীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গিয়ে বিপাকে স্বামী। জেলা প্রশাসনের সরকারি কর্তাদের সাক্ষী রেখে শুরুও হয়ে গিয়েছিল বিয়ের তোরজোড়। কিন্তু ছাদনাতলায় পাত্রকে চিনে ফেলায় পরানো হল না দ্বিতীয়বার স্ত্রীর গলায় মালা।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, বাংলার মতই সেখানেও দুঃস্থ বিবাহযোগ্যা মেয়েদের বা গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে সহায়তা প্রদানের জন্য চালু রয়েছে ‘বিবাহ যোজনা স্কীম’। আর এই স্কীমের সুবিধা নিতে চেয়ে ফের নিজের স্ত্রীকেই গণবিবাহের আসরে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর পদাধিকারি নৈতিক চৌধুরী।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের ছাত্র নেতার এমন কীর্তি বুঝতে বেশিক্ষন লাগেনি। এরপরই খবর যায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে। মধ্যপ্রদেশ পুলিশ এসে কীর্তিমান নৈতিক চৌধুরীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সাগর জেলার ধর্মশ্রীর বালাজি মন্দিরে এমনই এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
অভিযোগ, সেখানেই হাজির হয়েছিলেন নৈতিক এবং তাঁর স্ত্রী। যদিও আয়োজকেরা তাঁকে চিনে ফেলে পুলিশে খবর দেন। কারণ, আয়োজকদের কয়েক জন জানতেন গণবিবাহ অনুষ্ঠানের দিন পনেরো আগেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নৈতিকের বিয়ে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিংহ চৌহান ক্ষমতায় ফেরার পরেই জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রী কন্যাদান যোজনা প্রকল্পে গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছেন। সেখানে নবদম্পতিদের সরকারি সাহায্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর সেই সরকারি সাহায্য নিতে গিয়ে আপাতত শ্রীঘরে ঠাই হয়েছে ওই ছাত্রনেতার।