বাংলা হান্ট ডেস্ক :-
বস্তিতে এক চেয়ে জীবন তারউপর এক কামড়ার ঘরের মধ্যে গাদাগাদি করে থাকতে হয় পরিবারের ছয় জনকে। তাও নিধির পড়াশোনা তে তার জীবনযাত্রার প্রতিকূলতা কোনোভাবেই আঁচড় কাটতে পারেনি। ঘরের মধ্যে আলোর অভাবে ক্রমাগত সে ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাড়িয়ে মন দিয়ে পড়াশোনা করত। এর ফল ও সে পেয়েছে হাতেনাতে সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে একেবারে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
নিধির বাবা পেশায় একজন ধোপা, কাপড় কেঁচে আর ইস্ত্রী করেই সংসারের দায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আগে তিনি থাকতেন উত্তরপ্রদেশ এলাকার গরখপুর গ্রামে। তবে নিধির বয়স ২ বছর, তখনই তারা সপরিবারে চলে আসেন লখনউ তে।সেই থেকে বস্তিতে এক কামড়ার এক ঝুপড়িতেই পরিবারকে নিয়ে থাকেন তিনি।
অর্থাভাব, কষ্টের মধ্যে থাকলেও নিধির পড়াশুনায় সেভাবে কোনোদিন প্রভাব ফেলতে দেননি তিনি।পরীক্ষা চলাকালীন নিধি বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ল্যামপপোসটের তলায় গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে পড়ে যেতো টানা।তবে নম্বর এত পাওয়ার পরেও নিজেকে মেধাবি বলে মানতে নারাজ নিধি। তাঁর মতে তাঁর দিদি ছিলো তার থেকেই বেশি মেধাবী আর বুদ্ধিমতী। পরিবারের প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে নিধির কাছে জানতে চাইলে নিধি বলেন ‘অসম্ভব কে সম্ভব করতে প্রয়োজন অদম্য ইচ্ছাশক্তি ।’