বাংলাহান্ট ডেস্ক : চন্দন মন্ডল, শাহীদ ইমাম-সহ ছয় জন কিছুদিন আগেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সিবিআইয়ের হাতে। এবার গ্রেপ্তার হলেন আব্দুল খালেক। তিনি পেশায় ছিলেন স্কুলের ক্লার্ক (Ex Clerk)। এছাড়াও এলাকায় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কাজ থেকে অবশ্য বর্তমানে অবসর নিয়েছিলেন আব্দুল। তবে তার গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই মালদা জেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে শোরগোল।
এই আব্দুল খালেক বিশাল সম্পত্তির মালিক। তার বিশাল বাড়ি রয়েছে মালদার (Malda) ইংরেজ বাজারের সানিপার্ক এলাকায়। ইংরেজবাজার এলাকার অভিজাত এলাকা বলেই পরিচিত এই সানি পার্কে চারতলা বাড়ির মালিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত এই ক্লার্ক। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে একজন সাধারণ ক্লার্কের কিভাবে এই বিশাল বাড়ি হয়?
জানা যাচ্ছে, শুধু এই বাড়িটিই নয়, তার একাধিক সম্পত্তি রয়েছে মালদা জেলা জুড়ে। এই আব্দুল মালদার নঘরিয়া হাই স্কুলের তৃণমূল পরিচালিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিও। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তার সম্পর্ক রয়েছে জেলা তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতার সাথেও। তবে সাংবাদিকরা ইংরেজ বাজারে তার বাড়ির সামনে গেলে দেখতে পান বাড়ির বাইরে বড় বড় করে লেখা রয়েছে নেমপ্লেট। তালা বন্ধ মূল ফটক। এছাড়াও একাধিক সিসিটিভি রয়েছে এই প্রাসাদে।
আব্দুল খালেকের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এতদিন তারা কিছুই বুঝতে পারেননি। হঠাৎ দেখলাম ওকে ধরে নিয়ে গেল। পরে বুঝলাম ও চাকরি বিক্রি করত। পরেরদিন সিবিআইয়ের ৫-৬ জন লোকও এসেছিল। জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত এই স্কুল ক্লার্কের মালদায় একটি স্কুলও রয়েছে। বেসরকারি একটি স্কুল চালান তিনি মালদার মিল্কি এলাকায়। কাজ থেকে বছরখানেক আগে তিনি অবসর নিয়েছেন। তবে তার প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন যতই দিন গেছে এই আব্দুল খালেকের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইংরেজবাজারের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনিও আব্দুল খালেকের সম্পত্তি বৃদ্ধির বিষয় কানাঘুষো শুনেছেন। তবে তার পক্ষে জানা সম্ভব নয় যে কিভাবে টাকা আসত ওই ব্যক্তির কাছে। জানা গিয়েছে, আব্দুল খালেক নামের ওই ব্যক্তি বিশেষ মেলামেশা করতেন না প্রতিবেশীদের সাথে। প্রতিবেশীরা বলছেন, এই বাড়িটি আব্দুল খালেক বছর চারেক হল তৈরি করেছেন। এর আগে তারা ভাড়া থাকতেন একটি বাড়িতে।