বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত প্রায় দুই মাস ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। এলাকার হিন্দু মহিলাদের উপর হওয়া অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা শুনে শিহরিত গোটা বাংলা। শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একইসাথে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলিও। বিশেষ করে সন্দেশখালির দিকে দিকে ১৪৪ ধারা জারি হতেই ক্ষোভে ফুঁসছে পদ্ম শিবির।
ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারার বিরোধীতা করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এইদিন হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শুভেন্দু, শঙ্করদের সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ায় কোনও বাধা নেই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ থেকে এই নির্দেশ পেতেই টোটো করেই ধামাখালি থেকে সন্দেশখালি পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
সন্দেশখালির পাত্রপাড়ার এক নির্যাতিতার বাড়ির দাওয়ায় বসতেই তাদের ঘিরে ধরেন একদল মহিলা। তাদের উপর হওয়া অত্যাচার, নির্যাতনের ঝাঁপি খুলে বসেন তারা। এলাকার মহিলাদের এই দুর্দশার কথা শুনে ‘থ’ হয়ে যান শুভেন্দুও। তাদের বক্তব্য, বিগত কয়েক বছর ধরে শাসকদলের এই নেতারা যে অত্যাচার করে আসছে তা অসহনীয়। যে কোনও উপায়ে তারা এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চান।
আরও পড়ুন : সন্দেশখালি মামলায় ইডি, সিবিআই! প্রধান বিচারপতির গলায় উদ্বেগ, বড় রায় হাইকোর্টের
মহিলারা জানান, কেবল শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের গ্রেফতারিতেই তারা খুশি নন। এই কর্মকাণ্ডের মূল মাথা অর্থাৎ শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছেননা তারা। এই কথা শুনে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি তোমাদের হাত ধরে কথা দিচ্ছি, শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেই। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।’
আরও পড়ুন : ‘পাগড়ি মানেই খলিস্তানি নয়’, শিখ পুলিশ অফিসারের সমর্থনে সোচ্চার মমতার কড়া হুঁশিয়ারি বিজেপিকে
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বাধা পেরিয়ে অবশেষে সন্দেশখালি আসতে পেরেছি। আমাদের তিনবার আটকে দিয়েছে। কিছুতেই তোমাদের বাড়ির দাওয়া পর্যন্ত আসতে দিচ্ছিল না। অনেক লড়াই করে এসেছি।’ মহিলাদের আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে যেন বাড়ির কচিকাঁচাদের স্কুলে পাঠানো হয়। তাদের নিরাপত্তার জন্য এলাকায় শিবির করা হবে। এছাড়াও তিনি নিজেও আবার আসবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।