মেয়ের সঙ্গে NEET পাশ করলেন মা, সাফল্যের অবাক করা গল্প চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আইয়ারমুথু আমুথাভাল্লি ও মেয়ে সুজানার

Published on:

Published on:

Succes Story mother clears NEET with daughter Chennai resident shares surprising story

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধ্যবসা ও মনের জোর থাকলে কোন কিছু করা অসম্ভব নয়। ঠিক সেই রকমই নেটে’র পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। কথায় রয়েছে, যদি কারোর স্বপ্নপূরণের জন্য আবেগ ও জেদ থাকে সেক্ষেত্রে তিনি শত বাঁধার সম্মুখীন হলেও নিজের লক্ষ্যে (Success Story) ঠিক পৌঁছে যান। সেই রকমই চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আইয়ারমুথু আমুথাভাল্লি এবং তাঁর মেয়ে সুজানার কাহিনি কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্টের চেয়ে কম নয়। একসঙ্গে  (NEET) পাশ করে ডাক্তারির স্বপ্নপূরণের পথে চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আইয়ারমুথু আমুথাভাল্লি এবং তাঁর মেয়ে সুজানা। আজ রইলো তাদের সাফল্যের গল্প।

সংসার সামলে NEET উত্তীর্ণ করলেন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা আইয়ারমুথু আমুথাভাল্লি ও তাঁর মেয়ে সুজানা (Succes Story)

কথায় আছে ‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’। এই কথাটা আবারও প্রমান করল চেন্নাইয়ের (Chennai) এক গৃহবধূ। সংসার সামলে সন্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পড়াশোনা করে NEET পরীক্ষায় পাস করলেন তাঁরা। বর্তমানে মা-মেয়ের এই সাফল্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল (Viral)।

সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের তিরুভারুর মা ও মেয়ে একসঙ্গে নিট পরীক্ষায় বসে উত্তীর্ণ হয়ে গোটা দেশকে চমকে দিয়েছে। পাশাপাশি কোটা দেশকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছেন তাঁরা। ৪৯ বছর বয়সী আইয়ারমুথু আমুথাভাল্লি এর আগে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর সংসার সামলানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

Succes Story mother clears NEET with daughter Chennai resident shares surprising story

আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্ত্রী’র বিয়ে আটকাতে নগ্ন ভিডিও ভাইরাল করল স্বামী, তারপর যা হল… চমকে উঠবেন

এরপর সন্তান হওয়ার পর সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন তিনি। যখন তার সন্তান সুজানা নিট-এর (NEET) জন্য প্রস্তুত নিচ্ছিল তখন তিনিও নতুনভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এরপর একসঙ্গে পড়াশোনা করেন তারা দুইজন। তারপরে জীবনের এই পর্বে এসে মেয়ের সঙ্গে পরীক্ষা (Exam) দিয়ে উত্তীর্ণ হন মা। যদিও বা তিনবার ব্যর্থ হলেও চতুর্থবার এই পরীক্ষায় (NEET) সফল হন।

এই পরীক্ষায় পাশ করার পর, তিনি সরকারি কলেজে ভর্তি হতে পারেন নি। তবে তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্য থেকে সুজানা ৪৫৭ নম্বর পেয়ে সরকারি কলেজের ভর্তির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বিষয়ে সুজানা জানান, পড়াশোনার ক্ষেত্রে তার মা তাকে ভীষণ পরিমাণে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।