বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড়সড় তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S. Jaishankar) গত শনিবার জানিয়েছেন, ভারত এবং তানজানিয়া স্থানীয় মুদ্রায় ব্যবসায়িক চুক্তির কার্যক্রম শুরু করেছে। পাশাপাশি, তিনি বলেন, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য যে, তানজানিয়া সফরে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রী সেখানে শিল্পজগতের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে জানান যে, ভারত এবং এই আফ্রিকান দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ৬.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
জয়শঙ্কর জানান, “মনে রাখবেন যে, বর্তমানে এটি শুধুমাত্র ভালো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যই নয়, বরং এই বাণিজ্য ভারসাম্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। পারস্পরিক বাণিজ্যে অনেক নতুন পণ্য যুক্ত হচ্ছে। তানজানিয়া থেকে রপ্তানির বৃহত্তম গন্তব্য হিসেবে ভারত রয়েছে।” তিনি বলেন, এই ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যের মধ্যে তাদের স্থানীয় মুদ্রায় ব্যবসায়িক চুক্তি নিষ্পত্তির সম্ভাবনার বিষয়টিও সময়ে সময়ে উঠে আসছে।
অনুমতি দিয়েছে RBI: এই প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর তানজানিয়ার শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি আপনাদের জানাতে চাই যে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এমন একটি সম্ভাবনাকে অনুমোদন করেছে। এরপরে, এখানে উপস্থিত তিনটি ভারতীয় ব্যাঙ্ক একে-অপরের দেশের মুদ্রায় ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখবে।”
কিছু লেনদেন সম্পন্নও হয়েছে: বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারতীয় রুপি এবং তানজানিয়ান শিলিং-এ কিছু লেনদেন করাও হয়েছে এবং এটি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার জন্য আরেকটি প্রক্রিয়া তৈরি করেছে। তানজানিয়ায় উপস্থিত ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং কানাড়া ব্যাঙ্ক ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন পাওয়ার পর স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেন শুরু করেছে। যা রুপির মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে।
আফ্রিকার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো: এদিকে, ভারত এবং আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের শক্তিশালী হওয়ার কথা উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, আফ্রিকার সাথে ভারতের বাণিজ্য ৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এছাড়াও ভারত আফ্রিকায় ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী যে আফ্রিকায় বিনিয়োগের পাশাপাশি আমাদের ব্যবসা উভয়ই বাড়বে। আমি এটাও একমত যে আফ্রিকা জুড়ে মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা চালু হলে ভারতের পক্ষে এখানে বিনিয়োগ করা এবং ব্যবসা করা আরও সহজ হবে।”