প্রচেষ্টা আর প্রতিভার মেলবন্ধন ৫৪ লক্ষ টাকার প্যাকেজে কর্মজীবনে উজ্জ্বল সূচনা বঙ্গ কন্যার

Published on:

Published on:

Success Story banga tanya sets precedent with 54 lakh rupees job

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অধ্যবসা ও মনের জোর থাকলে কোন কিছু করা অসম্ভব নয়। ঠিক সেই রকমই নেটে’র পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে গেলে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। কথায় রয়েছে, যদি কারোর স্বপ্নপূরণের জন্য আবেগ ও জেদ থাকে সেক্ষেত্রে তিনি শত বাঁধার সম্মুখীন হলেও নিজের লক্ষ্যে (Success Story) ঠিক পৌঁছে যান। সেই রকমই জলপাইগুড়ি গভারমেন্ট কলেজের ছাত্রী তানিয়া বন্দোপাধ্যায়ের কাহিনি কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্টের চেয়ে কম নয়। আজ রইলো তার সাফল্যের গল্প।

৫৪ লক্ষ টাকার চাকরিতে নজির গড়লেন বঙ্গ তনয়া (Success Story)

অধ্যবসা ও মনের জোর থাকলে কোন কিছু করা অসম্ভব নয় । ঠিক সেই রকমই গল্প হুগলির ব্যান্ডেলের মেয়ে তানিয়া বন্দোপাধ্যায় এর (Success Story)। বার্ষিক ৫৪ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরিতে তিনি যোগ দিচ্ছেন। এই খবর জানাজানি হতে খুশি ছড়িয়ে পড়েছে পরিবার সহ জলপাইগুড়িতে।

জানা যায়, হুগলির ব্যান্ডেলের মেয়ে হলেও ২০২২ সাল থেকে পড়াশোনা সূত্রে জলপাইগুড়ি শহরকে আপন করে নিয়েছিলেন তানিয়া। জলপাইগুড়ি সরকার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্রী  তিনি। কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের প্রধান ডঃ সুভাষ বর্মন বলেন, শেয়ার পোর্ট তানিয়া সাফল্য আমাদেরকে গর্বিত করেছে। কম্পিউটার সাইন্সের প্রত্যেক পড়ুয়ার লক্ষ্য থাকে google কিংবা মাইক্রোসফট এ কাজ করার। আশা করছি ভবিষ্যতে তানিয়ার মতন বহু ছাত্র-ছাত্রী এই স্বপ্ন পূরণ করবে।

Success Story banga tanya sets precedent with 54 lakh rupees job

আরও পড়ুন: চা বা কফি বাদ দিন, শীতে শরীর গরম রাখতে পান করুন এই স্বাস্থ্যকর ড্রিঙ্কস

যদিও তানিয়া এখন কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তিনি জানান, উচ্চ মাধ্যমিকের পর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সুযোগ পায়। অন্য কলেজের পাশাপাশি এই কলেজেও পড়ার সুযোগ আসে। তবে ভালো প্লেসমেন্ট ও পাশাপাশি এখানে কোডিং ক্লাব থাকায় মনে হয়েছিল তাকে এখানে সাফল্যের আরও একটি নতুন ধাপে এগিয়ে দেবে।

পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রাত্যনিদের সাহায্যে ক্যারিয়ার পোটালের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় এপ্লাই করতে শুরু করি। সেখান থেকে মাইক্রোসফটের নয়ডার অফিসে ইন্টার্নশিপ করা। তখনই ইন্টারভিউ হয়। দুদিন আগে অফার লেটার প্রাইস সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার। তবে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে তিনি পারছেন না। তিনি মনে করছেন এটি তার স্বপ্নপূরণ হল।

তানিয়া আরও জানান, ২০২৬ সালে তার পঠন-পাঠন শেষ হবে। তারপরেই তিনি হায়দ্রাবাদের অফিসের যোগ দেবেন। পাশাপাশি প্রাক্তনী সহ কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপিকাদের কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। এর আগে মাইক্রোসফটেনশিপ এর পাশাপাশি তিনি google এ ইন্টারসিপ এর সুযোগ পেয়েছিলেন। এবং তিনি জানান, তার বাবার শিল্প কারখানায় কাজ করেন। এবং মা গৃহবধূ। তানিয়ার এই সাফল্যে তার মা সংগীতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কলেজের অধ্যাপকদের অবদান ভোলার নয়। ইন্টার্নশিপ চলাকালীন ক্লাসে কি হচ্ছে সেই সব বিষয়ে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাকে সাহায্য করতেন। এবং তারা তাদের মেয়ের সাফল্যে ভীষণ খুশি (Success Story)।