বাংলাহান্ট ডেস্ক: চাকরি ছেড়ে সোলার সার্ভিসকে সাফল্যের (Success Story) সিঁড়ি হিসেবে বেছে নিলেন তরুণ। কোনও ব্যবসার শুরু ছোট বা বড় নয়, দরকার শুধু সাহস, পরিশ্রম আর একটুখানি বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসকে সঙ্গী করে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের অমন গুপ্ত আজ গড়ে তুলেছেন ৫০ কোটি টাকার এক সফল সংস্থা— ‘স্মার্ট সোলার টেক’। ২০১৮ সালে মাত্র ১০ লক্ষ টাকায় শুরু করা তাঁর এই সৌর শক্তি সংস্থা এখন উত্তর ভারতের অন্যতম বৃহৎ সোলার সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান।
অমনের সাফল্যের কাহিনি (Success Story):
অমনের যাত্রা শুরু হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকে। পেশায় ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং বোটানিক বিভাগে সরকারি চাকুরে। কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তির ক্রমবর্ধমান সম্ভাবনা তাঁকে টানতে থাকে। স্থায়ী চাকরি ছেড়ে তিনি ঝুঁকি নেন উদ্যোক্তা হওয়ার। তাঁর স্ত্রী দীপ্তি চৌহান, যিনি এমবিএ ডিগ্রিধারী, ছিলেন তাঁর প্রথম সহযাত্রী। ২০১7 সালে তাঁরা নেডা (NEDA)-তে কোম্পানিটি রেজিস্টার করেন এবং পরের বছর হাতে গোনা কিছু মানুষ নিয়ে শুরু হয় ‘স্মার্ট সোলার টেক’-এর যাত্রা (Success Story)।
আরও পড়ুন:রাশিয়া থেকে আর তেল কিনবে না ভারত! ট্রাম্পের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কী জানাল বিদেশমন্ত্রক?
আজ সেই সংস্থায় ৭৫ জনেরও বেশি প্রশিক্ষিত কর্মী কাজ করছেন। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই ৮,০০০-রও বেশি সোলার প্যানেল ইনস্টল করেছে, যার মধ্যে প্রায় ৪,০০০টি কেবল লখনউতেই বসানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের বাইরে হরিয়ানা ও রাজস্থানেও তাদের কাজ ছড়িয়ে পড়েছে। আমন গুপ্ত জানান, “আমরা উত্তর ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম সোলার সার্ভিস প্রোভাইডার। আমাদের লক্ষ্য— পরিষ্কার শক্তির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও আলোর পরিধি পৌঁছে দেওয়া (Success Story)।”
‘স্মার্ট সোলার টেক’ শুধু ইনস্টলেশনই নয়, বরং গ্রাহক পরিষেবাতেও নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে। সংস্থাটি ভারতের প্রথম EPC ফার্ম হতে চলেছে, যারা একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করছে কাস্টমার ফিডব্যাক ও সার্ভিসিংয়ের জন্য। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাত্ক্ষণিক পরিষেবা পেতে পারবেন (Success Story)।
অমন বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ব্যবসা নয়, গ্রাহকদের আস্থা অর্জন। আমরা চাই মানুষ বুঝুক, সৌর শক্তি কেবল পরিবেশবান্ধবই নয়, অর্থনৈতিকভাবে লাভজনকও।” বর্তমানে কোম্পানি সরকারী ভর্তুকির আওতায় ৩ থেকে ১০ কিলোওয়াট ক্ষমতার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ১.৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে (Success Story)।
মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে অমন গুপ্তর এই উদ্যোগ লখনউয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা উত্তর ভারতে সফল উদাহরণ তৈরি করেছে। সরকারি চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সাহসিক সিদ্ধান্ত আজ তাঁকে এক নতুন পরিচয় দিয়েছে। নিজের পরিশ্রম, দৃঢ়তা ও দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন— সফলতার চাবিকাঠি বড় মূলধন নয়, বড় মন আর স্পষ্ট লক্ষ্য। অমন এখন দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর মতে, “যদি নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে, তাহলে কোনও স্বপ্নই অসম্ভব নয় (Success Story)।”